free tracking

হাঁপানি আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে!

হাঁপান একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ। হাঁপানি হলো শ্বাসনালির এক ধরনের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া। বংশানুক্রমিকভাবে এই রোগে আক্রান্ত হয় সন্তান। এ ছাড়া যাদের শ্বাসনালি খুবই সেনসেটিভ, তাদের শ্বাসনালি বিভিন্ন উত্তেজক বস্তু বা অ্যান্টিজেনের সংস্পর্শে এসে উত্তেজিত হয়ে ফুলে ওঠে। এর ফলে তাদের শ্বাসনালির মধ্যে কফের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় শুরু হয় লাগাতার কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ ইত্যাদি। বায়ুদূষণ, ঋতুপরিবর্তন এবং ঘরের ভিতরের অ্যালার্জেনসমূহ হাঁপানি রোগের সাধারণ কারণ।

হাঁপানির লক্ষণগুলি হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে, যা দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

শ্বাসকষ্ট: শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রমের সময় বা রাতে হাঁপানির একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি তখন ঘটে, যখন শ্বাসনালি ফুলে যায় এবং সরু হয়ে যায়। হাঁপানির তীব্রতা বৃদ্ধির একটি প্রধান লক্ষণ হল শ্বাসকষ্ট।

ঘনঘন কাশি: বিশেষ করে রাতে বা ব্যায়ামের পরে, অবিরাম কাশি হাঁপানির লক্ষণ হতে পারে। কাশি শুষ্ক হতে পারে বা শ্লেষ্মা উৎপন্ন হতে পারে এবং প্রায়শই ঠান্ডা বাতাস, ধোঁয়া বা অ্যালার্জেনের কারণে এটি আরও খারাপ হতে পারে।

বুকে টান অনুভব করা: হাঁপানির আক্রমণের সময় বুকে চাপ বা টান অনুভব করা যেতে পারে। এই অনুভূতির সাথে গভীর শ্বাস নিতে অসুবিধাও হতে পারে।

শ্লেষ্মা উৎপাদন বৃদ্ধি: শ্বাসনালিতে প্রদাহের ফলে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা উৎপাদন হতে পারে, যার ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে এবং কাশি ও কফ জমার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

ঘন ঘন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ: হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ঘন ঘন সর্দি, ফ্লু বা ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হতে পারে, কারণ তাদের শ্বাসনালি সংক্রমণের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়।

এছাড়া বার্ধক্যজনিত শ্বাসকষ্ট, যা ধূমপানের কারণে হাঁপানি হতে পারে। এ থেকে মুক্তির উপায় হলো রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রথমে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *