free tracking

যে ভিটামিন বেশি হলেই শরীরে মারাত্মক ক্ষতি!

মানবদেহে প্রতিনিয়তই ভিটামিনের প্রয়োজন। তবে কোনো এক ভিটামিন যদি এই শরীরে অতিমাত্রায় প্রবেশ করে; সে ক্ষেত্রে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তেমনই ভিটামিন ডি মানব শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

সূর্যের আলো এমনকি খাদ্য থেকেও এই ভিটামিন মেলে শরীরে। ভিটামিন ডি হাড় মজবুত করতে তো বটেই, শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার দিকে নজর রাখে।

তবে ভিটামিন ডি অন্যান্য ভিটামিনের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে ত্বক থেকে এক ধরনের স্টেরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়। সূর্যের আলো ছাড়াও কয়েকটি খাবার যেমন দুধ, ডিম থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

যদিও শরীরের ভিটামিন ডি’র অত্যধিক ঘাটতি দেখা দিলে চিকিৎসকরা এই ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট দেন রোগীকে। তবে করোনাকালে অনেকেই সুস্থ থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভিটামিন ডি’র সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণও হতে পারে।

কারণ ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট অতিরিক্ত গ্রহণে দেখা দিতে পারে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। মারাত্মক ৩ রোগের কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণে-

হাইপারক্যালসিয়াম

ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে হাড় সুস্থ থাকে। তবে শরীরে ভিটামিন ডি’র অতিরিক্ত ব্যবহারে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। যাকে বলে হাইপারক্যালসিয়াম।

সাধারণত শরীরে ক্যালসিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা ৮.৫-১০.৮ মিলিগ্রাম। স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে বমি বমি ভাব, বমি, দুর্বলতার মতো শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

হাড়ে যন্ত্রণা

ভিটামিন ডি যেমন হাড়কে সুস্থ রাখে, ঠিক তেমনই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে হাড়ে যন্ত্রণাও হতে পারে। শরীরে ভিটামিন ডি’র উচ্চ মাত্রার কারণে রক্তে এই ভিটামিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

ফলে হাড়ের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি শুরু হয়। এ কারণেই হাড়ের যন্ত্রণা বা হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

কিডনির সমস্যা

ভিটামিন ডি অধিক গ্রহণের ফলে শরীরে হাইপারক্যালসিয়াম দেখা দিতে পারে। আর সেখান থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিডনি।

এ ছাড়াও ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগকে বলা হয় পলিউরিয়াও। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ডি গ্রহণ করবেন না।

সূত্র: হেলথলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *