আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের অবস্থান আরও কঠোর হতে চলেছে। এবারের বাজেটে সিগারেটের মূল্য কাঠামো অপরিবর্তিত থাকলেও সিগারেট পেপার—অর্থাৎ সিগারেট তৈরির জন্য ব্যবহৃত কাঁচামালে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব আনা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সিগারেট পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক বর্তমানের ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে এবারের বাজেটে। বাজেট প্রস্তাবটি সোমবার (২ জুন) বিকেলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ টেলিভিশন ও রেডিওতে সম্প্রচারিত বক্তব্যে উপস্থাপন করবেন।
তবে সিগারেটের দাম নিয়ে নতুন কোনো পরিবর্তন আসছে না। কারণ চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সরকারের পক্ষ থেকে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ স্তরের সিগারেটে প্রতি ১০ শলাকায় সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ৭ শতাংশ বাড়ানো হয়।
এই পরিবর্তনের ফলে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ এবং তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যেই সিগারেট পেপারের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের চিন্তাভাবনা করা হয়েছে বলে জানায় বাজেট সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ সিগারেট উৎপাদন ব্যয় বাড়াবে এবং দীর্ঘমেয়াদে দামেও প্রভাব ফেলতে পারে, যা ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কমাতে সহায়ক হবে।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর দাবি ছিল, তামাকজাত পণ্যের ওপর আরও কঠোর কর আরোপের। তাদের মতে, কেবল সিগারেট নয়, বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপরও একক কর কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। এবারের বাজেটে সেই দিকটিতে আংশিকভাবে হলেও সরকার সাড়া দিয়েছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজেট ঘোষণার পর বিস্তারিত নীতিমালা এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দেখে বোঝা যাবে, সরকার এই সিদ্ধান্তকে কীভাবে প্রয়োগে নিয়ে যাচ্ছে। তবে একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়—তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে এটি হতে পারে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ।
Leave a Reply