free tracking

অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে এই ৭ নিয়ম মেনে চলুন!

দিন দিন অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সুপারবাগের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে বছরে ১ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এই সংকট মোকাবিলায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে সতর্কতা জরুরি।

১. ডায়রিয়ায় স্বেচ্ছায় অ্যান্টিবায়োটিক নয়
৮০% ডায়রিয়া ভাইরাস বা সাধারণ সংক্রমণে হয়, যেখানে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না।
ওরস্যালাইন ও জিঙ্ক ট্যাবলেটই প্রধান চিকিৎসা। রক্ত বা পুঁজ মিশ্রিত ডায়রিয়া শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন।

২. সর্দি-জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর
৯০% সর্দি-কাশি ভাইরাসজনিত; অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়ায় কাজ করে।
জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল, গরম পানি ও মধু ব্যবহার করুন।

৩. চিকিৎসক ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নিষিদ্ধ
ফার্মেসি থেকে “যেটা দেন” বা প্রতিবেশীর পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া মারাত্মক।
ভুল অ্যান্টিবায়োটিক জীবাণুকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

৪. কোর্স সম্পূর্ণ করুন
৩ দিনে ভালো বোধ করলেও নির্ধারিত মেয়াদ (৫-১৪ দিন) শেষ করুন।
অর্ধেক কোর্সে থামলে জীবাণু পুনরায় আক্রমণ করবে এবং ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠবে।

৫. অন্যের ওষুধ নিজে নেবেন না
একই লক্ষণ ভিন্ন রোগের হতে পারে। যেমন: টাইফয়েড ও ইউটিআই-এ জ্বর আসে, কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক ভিন্ন।
৬. মেয়াদোত্তীর্ণ বা খোলা ওষুধ ব্যবহার করবেন না
সিরাপ/ট্যাবলেট খোলার ৭-১৪ দিনের মধ্যে ব্যবহার করুন।
পুরনো অ্যান্টিবায়োটিক বিষক্রিয়া বা অকার্যকর হতে পারে।

৭. প্রতিরোধই সর্বোত্তম পদ্ধতি
সাবান দিয়ে ৪০ সেকেন্ড হাত ধোয়া ৫০% সংক্রমণ কমায়।
হাঁচি-কাশিতে টিস্যু ব্যবহার ও মাস্ক পরুন।

সতর্কতা: বাংলাদেশে ৬৫% মানুষ স্ব-নির্ধারিত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন (আইসিডিডিআর,বি)। এই অভ্যাস পরিবর্তন করে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক সংকট রোধ করতে পারি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন অনুসরণ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *