free tracking

৬ শ্রেণির জমি বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হলো! ডিজিটাল ভূমি সেবায় ধরা পড়লেই শাস্তি!

সম্পূর্ণ ভূমি সেবা এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। এর ফলে যেমন ভূমি মালিকদের জন্য সুবিধা বাড়ছে, তেমনই কিছু ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ শ্রেণির মালিকদের জন্য এসেছে কঠোর বিধিনিষেধ। নতুন ডিজিটাল সেবার আওতায় এখন ছয় শ্রেণির জমি বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ এ নিয়ম অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

নিষিদ্ধ ঘোষিত ৬ শ্রেণির জমি:

১. এজমালি (অবিভক্ত) সম্পত্তি:
যেসব সম্পত্তিতে একাধিক ওয়ারিশের মালিকানা রয়েছে, সেসব জমি এককভাবে কেউ বিক্রি করতে পারবেন না। সকল মালিক একমত না হলে বিক্রি নিষিদ্ধ। তবে বাটোয়ারা (বিভাজন) দলিল থাকলে নিজ অংশ বিক্রিতে বাধা নেই।

২. জাল রেকর্ডভিত্তিক মালিকানা:
যারা অতীতে প্রতারণার মাধ্যমে জাল রেকর্ড তৈরি করে জমির মালিকানা পেয়েছেন, তারা আর সেই জমি বিক্রি করতে পারবেন না। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩. জাল নামজারিভিত্তিক মালিকানা:
ভুয়া দলিল বা নামজারি তৈরি করে যারা জমির মালিকানা দাবি করেছেন, তারা এখন আর সেই জমি বিক্রি করতে পারবেন না। ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করা হবে।

৪. ভুয়া দাখিলাভিত্তিক মালিকানা:
দাখিলা তৈরি করে যারা জমি দখল করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জমি বিক্রির চেষ্টায় ধরা পড়লে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

৫. জবরদখলের মাধ্যমে দখলকৃত জমি:
যারা জোরপূর্বক জমি দখল করে মালিকানা দাবি করেছেন, তারা আর সেই জমি বিক্রি করতে পারবেন না। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন, ২০২৩ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৬. খাস জমি:
সরকারি খাস জমি যাদের ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে, তারা সেই জমি বিক্রি করতে পারবেন না। বিক্রির চেষ্টা করলে তা অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে এবং উভয় পক্ষ—বিক্রেতা ও ক্রেতা—আইনের আওতায় পড়বেন।

ডিজিটালাইজেশনের উদ্দেশ্য:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য, “ভূমি সেবা নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং হয়রানিমুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভূমি মালিকানা নিশ্চিত করা।” এজন্য বাজেটে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার বাকি অংশ সম্পন্ন করার জন্য।

বিশেষ সতর্কতা:

ভূমি ক্রয়ের পূর্বে অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে জমির মালিকানা বৈধ কি না। অন্যথায় প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ নতুন ডিজিটাল ভূমি সেবায় সব তথ্য একত্রিত থাকায় জালিয়াতি বা অবৈধ মালিকানা লুকানো সম্ভব নয়।

সূত্রঃ https://youtu.be/xAZ9cKC50MQ?si=Us_EaqG6NeD70ryd

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *