free tracking

প্রতি রাতে গুলশানে আসে সেই প্রাইভেটকার, এরপরই বাড়ে ভিড়!

সোমবার (২ জুন)। রাত সোয়া আটটা। গাড়িটি এসে থামল গুলশান-২ এর বার্গার কিং এর দোকানের অল্প অদূরে। নেমে এলেন গাড়ির ভেতর থেকে এক তরুণী ও দুই তরুণ। এরপর ভিড় বাড়তে থাকলো।

বেশ কিছুদিন থেকে নজরে এসেছে গুলশান পাড়ায় যারা যাতায়াত বা বসবাস করেন তাদের নজরে। রাত আটটার দিকে একটা প্রাইভেটকার এসে থামে গুলশান-২ এর মোড়ের কাছে। নেমে পড়েন এক তরুণী ও দুই তরুণ। তারা সবাই চাকরি করেন। আর রাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। বেড়ানোও হলো। আড্ডাও হলো। আর আসল কাজও হলো। আসল কাজ কি–জানতে চাইলে সেই তরুণী উদ্যোক্তা রাত্রি ভাস্কর বলেন, ‘আমরা গাড়িতে করেই বিভিন্ন ধরণের চিপস বিক্রি করে বেড়াই। এতে ভালই আয় হয়। বিভিন্ন ধরণের মশলা দেওয়া হয় যাতে রুচি ভিন্ন ভিন্ন হয়। প্রচুর ক্রেতাও পাচ্ছি। বিক্রিতে আমরা স্যাটিসফায়েড।’

গাড়ির ব্যাকঢাকনা খুললেই চিপসের সারি সারি প্যাকেট , মেয়নিজ, চিকেন, টমেটো, মশলা, সসেজ দেখতে পাওয়া যায় । এ দোকানটিরও একটা আদুরে নাম আছে । সেটি হলো , চমৎCar।
রাত্রি ভাস্করের সাথে যে দুজন তরুণ কাজ করছেন তাদের নাম রাজন ও ওয়াজেদ।

তিনজনই চাকরি করেন বলে তারা বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন অফিস শেষে সন্ধ্যা আটটা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত থাকেন। অন্যদিকে বৃহস্পতি ও শুক্রবার থাকেন রাত তিনটা পর্যন্ত। ওয়াজেদ জানান, তাদের কাছে বিশ ধরণের চিপসমাখা থাকে। নুন্যতম দাম দেড়শো টাকা। সর্বোচ্চ মূল্য সাড়ে চারশো টাকা। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ প্যাকেট বিক্রি হয়।

রাত্রি ভাস্কর জানান, এটি আসলে আমেরিকান কনসেপ্ট থেকে তারা নিয়েছেন। আমেরিকায় একটা কথা আছে , ব্রিং ইউর ওউন ব্যাগ , সেটা থেকেই তারা এ কাজটি করছেন। প্রায় তিনমাস থেকে এ কাজ করছেন তারা। বাড়তি আয় হচ্ছে। সন্ত্তুষ্ট তারা তিনজনই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *