বর্তমান ব্যস্ত জীবনে স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ অভ্যাস মেনে চললেই এই প্রাণঘাতী অসুখ থেকে অনেকটা সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নিই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর ৭টি কার্যকর উপায়:
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণ। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান। লক্ষ্য রাখুন যেন ১২০/৮০ mmHg-এর নিচে থাকে ।
২. ধূমপান ছাড়ুন
ধূমপান রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয় এবং জমাট বাঁধা রক্তের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি শুধু স্ট্রোকই নয়, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও দ্বিগুণ করে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের কারণ, যেগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। করণীয় হচ্ছে ব্যালান্সড ডায়েট ও নিয়মিত শরীরচর্চা
৪. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
ফল, সবজি, বাদাম, ওমেগা-৩ যুক্ত মাছ, পূর্ণ শস্য খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন
ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করুন। অ unmanaged ডায়াবেটিস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
৬. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ব্যায়াম (যেমন brisk walking, সাঁতার, সাইক্লিং) স্ট্রোক প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
৭. স্ট্রেস কমান ও ঘুম ঠিক রাখুন
অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অনিদ্রা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা পছন্দের কাজে মন দিন এবং প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
স্ট্রোকের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে কিংবা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে অবশ্যই নিয়মিত চেকআপ করুন।
স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব যদি জীবনধারায় আনেন কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন। এখনই শুরু করুন সচেতনতা, সুস্থ থাকুন দীর্ঘদিন।
Leave a Reply