free tracking

মানসিক অসুস্থতার শারীরিক লক্ষণ!

বুকব্যথা ও বুক ধড়ফড় নিয়ে হাসপাতালে আসেন অনেক রোগী। আমাদের সবারই আতঙ্ক থাকে এই বুঝি হার্টের সমস্যা হলো। আমার মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে নাকি।

অনেক সময় বুকব্যথা প্যালপিটেশন হওয়া মানেই হার্টের অসুখ নয়। এ ধরনের রোগীরা একটার পর একটা ইসিজি আর ইকো-কার্ডিওগ্রাম সিকেএমবি, ট্রপোনিন, সিবিস করতে থাকে। দেখা যায় সবকিছু নরমাল তারপরও বুকে ব্যথা কমে না। তার রোগ ধরতে পারছে না বিধায় ডাক্তারও বদলাতে থাকেন।

রোগীর টেনশন কাজ করে। হার্টের অসুখ এ জন্য বারবার ইসিজি ও ইকো-কার্ডিওগ্রাম করে বেড়াচ্ছেন। মাথা ঝিমঝিম করছে-মানে স্ট্রোক করে ফেলবে। হাত-পা অবশ হয়ে আসছে মনে হয় প্যারালাইসিস হয়ে যাবে।

লক্ষণ :

১. হঠাৎ করে বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা।

২. দম বন্ধ হয়ে আসা, বড় বড় করে হাঁপানি রোগীর মতো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া।

৩. হাত-পা অবশ হয়ে আসা। শরীরের কাঁপুনি হওয়া।

৪. বুকের মধ্যে চাপ লাগা এবং ব্যথা অনুভব করা।

৫. এমনও দেখা গেছে, কোনো কোনো রোগী বলে হঠাৎ পেটের মধ্যে একটা মোচড় দেয় তার পর ওপর দিকে উঠে বুক ধড়ফড় শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাত-পা অবশ হয়ে যায়। আর কথা বলতে পারে না।

৬. বমি বমি ভাব লাগে। পেটের মধ্যে অস্বস্তি বোধ লাগা ও গলা শুকিয়ে আসা।

৭. পেটের মধ্যে গ্যাস ওঠে, খালি গ্যাস ওঠে এবং বুকে চাপ দেয়।

৮. দুশ্চিন্তা থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে।

কোনো কোনো রোগী বুকে ব্যথা ও হাত-পায়ের ঝিমঝিমকে সাথে সাথে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ মনে করে প্রায়ই ছুটে যান হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ডাক্তার দেখাতে। দেখা যায় প্রায়ই কিছু হলে আতঙ্কে থাকেন। এই বুঝি কিছু হল। অনেকেই ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। তাই এমনটা মনে হলে হেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

লেখক : অধ্যাপক, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, ঢাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *