প্রিয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ফ্রিজিয়ান জাতের কালো রঙের একটি ষাঁড় গরু নিয়ে ঢাকার গুলশানে এসেছেন পটুয়াখালীর আলোচিত কৃষক সোহাগ মৃধা। ‘কালো মানিক’ নাম দেওয়া সেই ষাড়টি গ্রহণ করবেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী।তিনি এমন অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য কৃষক সোহাগ মৃধার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, চেয়েছেন দোয়া।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি উপহারটি ফেরত নিতে বলেছেন। এটি তার (সোহাগ) সংসারের কাজে লাগাতে বলেছেন। পাশাপাশি ম্যাডাম তার কাছে দোয়া চেয়েছেন। দেশবাসীর কাছেও দোয়া চেয়েছেন।
কালো মানিককে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালি বাজার থেকে সুসজ্জিত গাড়ি বহরসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন সোহাগ।
‘কালো মানিক’ নামের গরুটি উপহার হিসেবে নেবেন না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তাঁকে এটি উপহার দিতে চেয়েছিলেন পটুয়াখালীর এক কৃষক।
ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৩৫ মণ। বাজারে যার দাম উঠেছিল প্রায় ১০ লাখ টাকা।
কৃষক সোহাগ মৃধা বিএনপির কর্মী। ছয় বছর ধরে লালন-পালন করেছেন ষাঁড়টি। কুচকুচে কালো রঙের ষাঁড়টিকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ‘কালো মানিক’ বলে ডাকেন।
গুলশানের পথে রওনা হওয়ার আগে সোহাগ মৃধা বলেন, ‘কালো মানিককে আমি নিজের সন্তানের মতো করে বড় করেছি। এটিকে আমি নিজেই ঢাকায় নিয়ে গিয়ে খালেদা জিয়ার হাতে উপহার হিসেবে তুলে দিতে চাই। আমি শুধু চাই আমার নেত্রী যাতে আমার উপহারটি গ্রহণ করে। আর এতেই আমি খুশি।’
আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, সোহাগ আমার ভাতিজাল। এ গরুটি ওর পরিবারের শেষ সম্বল। গরুটিকে সে আমাদের নেত্রীর জন্য উপহার হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন। এটি একজন কর্মীর আবেগের বহিঃপ্রকাশ। তাকে অনেকবার বুঝানোর পরও সে কিছুতেই বুঝতে চাচ্ছে না। তাই আমাদের সবার অনুরোধ মমতাময়ী মা এবং আমাদের সবার নেত্রী খালেদা জিয়া যাতে উপহারটি গ্রহণ করেন।
২০১৮ সালের শেষের দিকে এক লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি গাভী কিনেন সোহাগ । সপ্তাহ না যেতেই গাভিটি জন্ম দেয় একটি বাছুরের, সেই বাছুরই আজকের ‘কালো মানিক’। দীর্ঘ ছয় বছরের নিবিড় পরিচর্যায় নিজ বাড়িতেই বড় করেছেন তিনি এ দৃষ্টিনন্দন ষাঁড়টি।
Leave a Reply