free tracking

ঈদের আগে ভারতীয় গরু নিয়ে বি’স্ফো’র’ক বার্তা উপ-প্রেস সচিবের!

কোরবানির পশুর হাটে এক সময় বাজারজুড়ে ছিল সাদা, রুগ্ন ভারতীয় গরুর আধিপত্য। সেই চিত্র এখন আর দেখা যায় না—এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।

নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “কোরবানির পশু বেচাকেনা চলছে। পশুর মজুদ পর্যাপ্ত আছে। এটা বেশ আশার খবর। ছোটবেলায় দেখতাম রুগ্ন, সাদা ভারতীয় গরুতে বাজার সয়লাব। কোরবানির হাটে বেশ ক’বছর ধরেই এ দৃশ্য অনুপস্থিত।”

পশু বাণিজ্যের প্রসঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরে আজাদ মজুমদার বলেন, “সীমান্তে পশু আনা-নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএসএফের গুলিতে অনেক বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। ভারতীয়রা তো বটেই, বাংলাদেশের অনেক মন্ত্রী-এমপি হত্যাকাণ্ডের শিকারদের ‘চোরাচালানি’ বলে এই হত্যাকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।”

তিনি জানান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে অন্তত ৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা হলে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সীমান্ত হত্যা দিয়েই আলোচনার সূচনা করেন। তিনি বলেন,“আপনাদের সীমান্তরক্ষীরা যখন সীমান্তে আমাদের নাগরিকদের গুলি করেন, সেই গুলি এসে আমার বুকে লাগে।”

আজাদের ভাষায়, “এই গুলি কেবল তাঁর একার বুকে নয়, বিবেকবান প্রত্যেক বাংলাদেশির বুকে লাগে।”

বাংলাদেশ যেন পশু উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠে—এই প্রত্যাশা জানিয়ে আজাদ মজুমদার লেখেন, “পশু প্রতিপালনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক বাংলাদেশ। পশুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশিদের সঙ্গে পাশবিক আচরণ বন্ধ হোক—এই কামনা করি।”

পোস্টের শেষাংশে তিনি দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান:“ঈদ মোবারক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *