free tracking

ভিনিসিয়ুসের গোলে শেষ হলো প্যারাগুয়ে ও ব্রাজিলের ম্যাচ!

নিজেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বিশ্বমানের তারকায় পরিণত করেছিলেন কার্লো আনচেলত্তির অধীনে। তবে সেটা রিয়াল মাদ্রিদের সাদা জার্সিতে। জাতীয় দলে ভিনিসিয়ুস বেশ নিষ্প্রভই ছিলেন বলা চলে। রিয়াল থেকে ভিনি জুনিয়রের গুরু আনচেলত্তিকে উড়িয়ে এনেছে ব্রাজিল। আর সেটার ফলাফলও যেন এলো হাতেনাতে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ভিনিসিয়ুস পেলেন গোলের দেখা।

তার একমাত্র গোলের সুবাদে নিজ দেশে আনচেলত্তির প্রথম ম্যাচ শেষ হলো ১-০ গোলের জয় দিয়ে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। অবশ্য র‍্যাঙ্কিংয়ের ৪৮তম স্থানে থাকা প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এমন জয়টা খুব বেশি তৃপ্তি দিতে পারছে না ব্রাজিল ভক্তদের।

এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না ব্রাজিলের জন্য। প্যারাগুয়ে ম্যাচের আগে শেষ ৫ ম্যাচে ছিল মোটে ১ জয়। কার্লো আনচেলত্তি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম ম্যাচেও ছিল না ব্রাজিলের দাপুটে পারফরম্যান্স। তবে বুধবার ভোরের ম্যাচে ব্রাজিলকে অনেকটাই দেখা গেছে আগ্রাসী ভূমিকায়।

প্যারাগুয়ের দুর্বল রক্ষণ হোক বা নিজেদের আক্রমণভাগের সক্ষমতা, ব্রাজিলের খেলায় আজ অন্তত চোখ ভরার কথা সমর্থকদের। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই প্যারাগুয়েকে ভুগিয়েছে আনচেলত্তির শিষ্যরা। শুরুর দিকে ম্যাথিয়াস কুনহা দারুণ সাহায্য করেছেন রাফিনিয়া এবং ভিনিসিয়ুসকে। তবে এই দুজনের কেউই কুনহার শুরুর দিকের পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।

২২ থেকে ২৮– এই সাত মিনিটে অন্তত ৩টি ভাল সুযোগ হারায় ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত গোল আসে একেবারে ৪৪ মিনিটে গিয়ে। ম্যাথিয়াস কুনহাই গোলের উৎস। দলীয় বোঝাপড়ায় বল পেয়েছিলেন ডি-বক্সে। তার কাটব্যাক পাস খুঁজে নেয় ভিনিসিয়ুসকে। প্যারাগুয়ে ডিফেন্সের বাধার মুখে পড়ে যেতে যেতেও গোল করেন ব্রাজিলের এই তারকা।

বিরতির পর ব্রাজিল বলের দখল রেখেছিল ঠিকই, তবে গোল করার মতো আক্রমণ রচনা করতে পারেনি। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে প্যারাগুয়ে অন্তত দুবার ভয় ধরিয়েছিল ব্রাজিল রক্ষণে। ৬০ মিনিটে অ্যান্তোনিই সানাব্রিয়ার শট ঠেকান ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। ৭২ মিনিটে জুনিয়র আলোনসোর হেড চলে যায় বারের খানিক বাইরে দিয়ে।

শেষদিকে ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ সাফল্যের মুখ অবশ্য দেখেনি স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতার কারণে। তাতে অবশ্য জয় পেতে অসুবিধা হয়নি ব্রাজিলের। এই জয়ের পর কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বের তিন নম্বরে উঠে এসেছে সেলেসাওরা। ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিতের অনেকটাই আছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *