free tracking

হাসিনা ইস্যুতে মোদিকে নিয়ে ড. ইউনূসের বিস্ফোরক দাবি!

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে চলমান প্রক্রিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি।

লন্ডনের খ্যাতনামা গবেষণা সংস্থা চ্যাথাম হাউসে গত বুধবার (১১ জুন) দেওয়া এক বক্তৃতায় ড. ইউনূস এ মন্তব্য করেন।

বক্তৃতায় ড. ইউনূস বলেন, গত এপ্রিলে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পান। তিনি মোদিকে উদ্দেশ করে বলেন: “আপনি যদি তাকে (শেখ হাসিনা) আশ্রয় দিয়েই থাকেন, আমরা সেটি মেনে নিচ্ছি। তবে অনুরোধ, তাকে অন্তত বাংলাদেশের জনগণের বিষয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য না দিতে বলেন। তার কথাবার্তা আমাদের জনগণকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করছে।”

ড. ইউনূস দাবি করেন, মোদি তার উত্তরে বলেন: “এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।” এ মন্তব্যকে তিনি “দায় এড়ানোর কৌশল” আখ্যা দিয়ে বলেন, “এটা একটা বিস্ফোরক পরিস্থিতি। আপনি শুধু সোশ্যাল মিডিয়াকে দায়ী করে সরে যেতে পারেন না।”

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট শিক্ষার্থী জনতার অভ্যুত্থানের পর ভারতে চলে যান। বর্তমানে তিনি নয়াদিল্লির একটি ‘সেফ হাউসে’ অবস্থান করছেন বলে দাবি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের আন্দোলন দমনে ১,৪০০+ মানুষের হত্যার অভিযোগ রয়েছে, যার বিচার চলছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।DSE stock quotes

ড. ইউনূস বলেন,“বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনাল তলব করেছে। তিনি যদি সাড়া না দেন, তাহলে আমরা ইন্টারপোলের সহায়তা চাইতে বাধ্য হবো। সবকিছুই আইনানুগ উপায়ে সম্পন্ন হবে।”

চ্যাথাম হাউসের বক্তৃতায় ড. ইউনূস আরও অভিযোগ করেন, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী “ভুয়া সংবাদ” ছড়ানো হচ্ছে, যা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তার ভাষায়: “আমরা ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়তে চাই। কিন্তু এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ নিয়মিত প্রচার হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সন্দেহ ও উদ্বেগ বাড়ছে। অনেকেই মনে করছেন, এসব হচ্ছে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের ইঙ্গিতে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *