অনেকেই আছেন যারা জানতে চান, তাদের বাবা বা দাদার নামে বর্তমানে কোথায় কতটুকু জমি আছে। কিন্তু দাগ বা খতিয়ান নাম্বার জানা না থাকায় অনেকেই তথ্য খুঁজে পান না। এখন মোবাইল থেকেই মাত্র কয়েকটি ধাপে আপনি জানতে পারবেন আপনার পূর্বপুরুষদের নামে জমির অবস্থান ও পরিমাণ।
কীভাবে করবেন? জেনে নিন সহজ ধাপগুলো—
🔹 প্রথম ধাপ:
- আপনার মোবাইলের যেকোনো একটি ব্রাউজারে (যেমন Google Chrome) প্রবেশ করুন।
🔹 দ্বিতীয় ধাপ:
- সার্চ বক্সে লিখুন: eporcha.gov.bd
- এটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট।
🔹 তৃতীয় ধাপ:
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ক্লিক করুন “ই-পর্চা” অপশনে।
- এরপর আপনি দেখতে পাবেন—স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ সেবার পেজ।
🔹 চতুর্থ ধাপ:
- এখন ক্লিক করুন “নামজারী খতিয়ান” অপশনে। এরপর:
- বিভাগ নির্বাচন করুন (যেমন: ঢাকা)
- জেলা নির্বাচন করুন
- উপজেলা নির্বাচন করুন
- মৌজা (গ্রাম/এলাকা) নির্বাচন করুন
🔹 পঞ্চম ধাপ:
- এখন কিছু লোডিং শেষে ঐ এলাকার জমির মালিকদের নামের একটি তালিকা আসবে।
- যদি তালিকা থেকে নাম খুঁজে পেতে সমস্যা হয়, তাহলে নিচে থাকা “অধিকতর অনুসন্ধান” অপশনে ক্লিক করুন।
সেখানে গিয়ে:
- মালিকের নাম দিন অথবা
- দাগ নম্বর দিন
- তারপর “খুঁজুন” অপশনে ক্লিক করুন।
🔹 ষষ্ঠ ধাপ:
নাম অনুযায়ী জমি খুঁজে পেলে আপনি দেখতে পাবেন:
- জমির খতিয়ান নম্বর
- দাগ নম্বর
- জমির পরিমাণ (একর/শতক)
খতিয়ানের অনলাইন কপি কিভাবে পাবেন?
যদি আপনি খতিয়ানের অনলাইন কপি চান, তাহলে সেই পেজেই “খতিয়ান আবেদন” অপশনে ক্লিক করুন।
এখানে আপনাকে কিছু তথ্য দিতে হবে:
- জমির মালিকের এনআইডি নম্বর
- জন্মতারিখ
- নাম
- মোবাইল নম্বর
- ঠিকানা
- আবেদন ধরন (অনলাইন কপি বা সার্টিফাইড কপি)
- ১০০ টাকা ফি (বিকাশ, নগদসহ ৫টি পেমেন্ট অপশন)
অনলাইন কপি বনাম সার্টিফাইড কপি:
- অনলাইন কপি: সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলেই ডাউনলোড করা যাবে।
- সার্টিফাইড কপি: ডাকঘরের মাধ্যমে হাতে পেতে কিছুদিন সময় লাগবে।
এখন আর জমির তথ্য জানার জন্য ভোগান্তি নয়। আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েই জেনে নিন—বাবা-দাদার নামে কোথায় কতটুক জমি রয়েছে, একদম সহজে, ঘরে বসেই!
Leave a Reply