free tracking

অভ্যাসের বদলেই ফ্যাটি লিভার নির্মূল করা সম্ভব, মানতে হবে ৫টি পরামর্শ!

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ফ্যাটি লিভার নির্মূল করা সম্ভব। তবে তার জন্য জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে।

আধুনিক জীবনযাত্রায় অনেকেই কমবেশি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। লিভারে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মেদ জমতে শুরু করে, তা হলে সিরোসিস, ফাইব্রোসিস, এমনকি লিভার ফেলিয়োর পর্যন্ত হতে পারে। ভাজাভুজি এবং অস্বাস্থ্যকার খাবার থেকে ফ্যাটি লিভারের পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে শুরু করে।

এখন প্রশ্ন, ফ্যাটি লিভার শনাক্ত করা পর তা কি নির্মূল করা সম্ভব? লিভার কি আবার আগের অবস্থায় ফিরতে পারে? চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ জানিয়েছেন, সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভারের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। তার জন্য দৈনন্দিন জীবনে কিছু রদবদল করা যেতে পারে।

১) ফ্যাটি লিভারের হাত থেকে মুক্তি পেতে, আগে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমানো উচিত। তবে তা ধীরে ধীরে হওয়া উচিত। কোনও রকম কড়া ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করা হলে লিভারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

২) অতিরিক্ত মদ্যপান থেকে ফ্যাটি লিভার হতে পারে। তাই ফ্যাটি লিভার শনাক্ত হওয়ার পরেই অবিলম্বে মদ্যপান ত্যাগ করা উচিত। ‘ন্যাশনাল হেল্‌থ সার্ভিস’ (এনএইচএস)-এর মত, অল্প পরিমাণে মাঝেমধ্যে মদ্যপান করলেও ব্যক্তি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হতে পারেন।

৩) ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দেখা গিয়েছে, নিয়মিত কফি পানের অভ্যাস ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি দিতে পারে। কফি যকৃতের ফাইব্রোসিসের হাত থেকেও রক্ষা করে।

৪) নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারলে লিভারের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। কারণ, শরীরচর্চার ফলে দেহ থেকে মেদ দূর হয়। পরোক্ষে তা লিভারের স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী। তাই প্রতি দিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট শরীরচর্চা করতে পারলে ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যেতে পারে।

৫) বেশ কিছু ঔষধ এবং সাপ্লিমেন্ট যকৃতের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। এই ধরনের ওষুধ দিনের পর দিন ব্যবহার করলে যকৃতের কার্যক্ষমতাও হ্রাস পায়। ফলে ব্যক্তি সহজেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *