free tracking

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ব্যাগ গোছানোর পরামর্শ আনিস আলমগীরের!

অন্তবর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ব্যাগ গুছানোর পরামর্শ দিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ পরামর্শ দেন তিনি।

আনিস আলমগীর তার পোস্টে বলেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাই প্রোফাইল বৈঠকে অবশেষে যা হওয়ার ছিল, সেটাই হলো। জাতি কিছুটা স্বস্তি পেল—এই চিত্রটাই এতদিন ধরে রাজনৈতিক মহল ও মিডিয়ার কল্পনায় ঘুরপাক খাচ্ছিল।

নতুন কিছু না, শুধু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো। নির্বাচন এগিয়ে এলো— এপ্রিলের বদলে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনের বাইরে থাকবে, সেটাও এখন নিশ্চিত। অনেকদিন তো তারা খেয়েছে এবার অন্যের খাওয়া দেখতে দেখতে, একটু ধৈর্য ধরলে হয়।

বাকিদের এবার যার যার নির্বাচনী মাঠে নামার সময়। কিছু গুছানো সংস্কার হবে, দুই একটা প্রতীকী রায়ও ঝুলে আছে, সেগুলো পড়বে। ব্যাস, এবার সবাই প্রস্তুতি নিন।

তিনি আরো বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বলছি— যাদের বিদেশি পাসপোর্ট চিন্তা নেই, বাকিদের মধ্যে যারা বেশি বেশি বেশি করছেন ব্যাগ গুছিয়ে ফেলুন।

কার কোন দেশে সেফ এক্সিট হবে তা ঠিক করে ফেলুন। এক্সিট নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে, কিন্তু দেশে থাকার নিরাপত্তা নয়। আপনারা এমন সমাজ তৈরি করেছেন গত ১০ মাসে, সামনের দিনগুলোতে সেই ক্ষত মিটবে আমার মনে হয় না।

আনিস আলমগীর বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের মতো আপনাদেরও হয়তো দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের বাইরে দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটাতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আপনাদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারবে না—তারা সেটা খোলাখুলি বলবে না, বুঝে নিতে হবে।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের জীবন অনিরাপদ বাংলাদেশে- এই ভুয়া গোয়েন্দা রিপোর্টও এখন উঠে যাবে সরকারি নথি থেকে। জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির আগেই তিনি ঢাকায় থাকবেন। সব মিলিয়ে, লন্ডনের এই বৈঠক, জাতির জন্য এক ধরনের স্বস্তির খবর। চলো বাংলাদেশ, এবার জঙ্গি-মব শাসনের অপসান হোক। এসো, সবাই মিলে গড়ে তুলি একটি উদার, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক সমাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *