free tracking

যে কারণে পালিয়েছেন নেতানিয়াহু!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ শুরু করে দেশটি। ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু হলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আতঙ্কিত হয়ে দপ্তর ছেড়ে চলে যান। শনিবার (১৪ জুন) সকালেও ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইরান।

সিএনএন জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার পর বাংকারের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা সিএনএনকে তথ্যটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবারের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলেছেন। কৌশলগত কারণে তার অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে।

ইরনার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তেহরানের বিরুদ্ধে হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অজ্ঞাত কোনো স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভবত তাকে গ্রিসে নেওয়া হয়েছে। তবে তথ্যটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে হামলা থেকে বাঁচতে ইসরায়েলি সাধারণ নাগরিকদেরও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। কারণ, ইরানের এবারের হামলা যেকোনো সময়ের চেয়ে ব্যাপক। রাতে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে বলেছে, নতুন করেও ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে। সেসব প্রতিহত এবং হতাহতদের উদ্ধারে তারা কাজ করছেন।

শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ইরান ইসরায়েলের দিকে বেশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যারেজ নিক্ষেপ করে। যার ফলে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করতে বাধ্য হয়। আকাশে আগত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বাধার কারণে আলোর রেখা এবং আগুনের গোলার দৃশ্যে পুরো শহর আলোকিত হয়ে উঠে।

এই হামলায় ৬০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে একজন নারী গুরুতরভাবে আহত হয়ে পরে মারা যান। দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের তথ্য মতে, আরেকজন ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত এবং বেশ কয়েকজন মাঝারি মাত্রায় আহত হয়েছেন। বাকিরা হালকাভাবে আহত এবং তীব্র উদ্বেগে ভুগছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তারা হামলার সময় আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *