প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চার দিনের যুক্তরাজ্য সফর বহুমাত্রিক অর্জনে পরিপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে সফর সংক্রান্ত বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন তিনি।
প্রেস সচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, সফরে ড. ইউনূস যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লসের সঙ্গে ৩০ মিনিটের একান্ত বৈঠক করেন এবং ব্রিটিশ রাজার কাছ থেকে একটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি জানান, এই পুরস্কার ও সাক্ষাৎ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান এবং রাজনৈতিক রূপান্তরের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত।
পোস্টে সবচেয়ে আলোচিত অংশ ছিল ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠক। প্রেস সচিব একে ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় উল্লেখ করে লিখেছেন, “দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধানের এই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য ‘গেম ওভারের’ বার্তা”।
এছাড়া, প্রেস সচিবের পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA) শেখ হাসিনার একজন শীর্ষ সহযোগীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এজেন্সিটি প্রায় ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩২০টি সম্পত্তি জব্দ করেছে, যা তাদের ইতিহাসে এককভাবে সবচেয়ে বড় সম্পদ জব্দের ঘটনা। শফিকুল আলম বলেন, “এটি শুধু দুর্নীতিবাজদের জন্য একটি সতর্কবার্তাই নয়, বরং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সম্পদ পুনরুদ্ধারের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।”
পোস্টের শেষদিকে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পর্কেও বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। জানানো হয়, ব্রিটিশ মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং বাংলাদেশের দুদক ও অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্পদ পুনরুদ্ধারে আরও জোরদার ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান নিয়েও কিছু আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।
Leave a Reply