অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহুল আলোচিত বৈঠকটি শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে বৈঠকটি। বৈঠক শেষে পার্ক লেনের হোটেল থেকে তারেক রহমানকে হাসিমুখে বের হতে দেখা যায়।
বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতারা এই বিষয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
রাজনীতিবিদদের প্রতিক্রিয়া:
অলি আহমদ (প্রেসিডেন্ট, এলডিপি):
“আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হয়ে থাকলে দেশের জন্য তা অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে অন্তত ৫০% সংস্কার হলেও সেটি যথেষ্ট অগ্রগতি হিসেবে গণ্য হবে।”
সাইফুল হক (সাধারণ সম্পাদক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি):
“বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী অনিশ্চয়তা ও অবিশ্বাস অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। এটি একটি সফল উদ্যোগ। এতে বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।”
রুহিন হোসেন প্রিন্স (সাধারণ সম্পাদক, সিপিবি):
“নির্বাচনের তারিখ স্পষ্টভাবে নির্ধারণ না করলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটবে না। প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফর ও ব্যয়ের বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের উপস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ।”
মজিবুর রহমান মঞ্জু (চেয়ারম্যান, আমার বাংলাদেশ পার্টি):
“বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই মনে করি। ড. ইউনূস ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চান না, আর বিএনপিও সংস্কারবিরোধী নয়। কিছু উপদেষ্টা ও নেতার বক্তব্য দূরত্ব সৃষ্টি করলেও এই বৈঠক তা কাটিয়ে তুলতে সহায়ক হবে।”
মাহমুদুর রহমান মান্না (সভাপতি, নাগরিক ঐক্য):
“নির্বাচন সামনে এগিয়ে আনা গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ। যত সময় আছে, তার মধ্যেই সংস্কার করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত।”
শরীফ নূরুল আম্বিয়া (সভাপতি, বাংলাদেশ জাসদ):
“জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়া আবহাওয়াগত দিক থেকে ভালো। এনসিপির যেসব সংস্কার দাবি রয়েছে, তা ডিসেম্বরের মধ্যেই বাস্তবায়ন সম্ভব।”
জোনায়েদ সাকি (প্রধান সমন্বয়কারী, গণসংহতি আন্দোলন):
“নির্বাচনের সময় নির্ধারণ হলে সংস্কার নিয়ে আরও মনোযোগী হওয়া যাবে। বৈঠকে নির্বাচন এগিয়ে আনার আভাস পাওয়া গেছে। রোজার আগেই নির্বাচন হলে ভালো হবে।”
আরিফুল ইসলাম আদীব (সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, এনসিপি):
“নির্বাচনের তারিখ পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো অবমূল্যায়িত হয়েছে। শহীদ পরিবার ও দলগুলোর মতামত নেওয়া উচিত ছিল।”
হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক, এনসিপি):
“বৈঠক ইতিবাচক হলেও সেখানে অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিচার ও সংস্কার বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি।”
Leave a Reply