বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। কখনো ভদ্রদৃষ্টিতে এড়িয়ে যাওয়া, কখনো ঠান্ডা লড়াই—এখন সেই দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
‘নট আউট নোমান’-কে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে সুজন স্পষ্ট ভাষায় বলেন,
❝ জাতীয় দলে বিভাজনের শুরু হয়েছে সাকিব-তামিম দ্বন্দ্ব থেকেই। সেই ফাটল এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভোগাচ্ছে। ❞
সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন—
“তামিম বাদ পড়ার পর ড্রেসিংরুমে স্পষ্ট দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল। একপাশে তামিমের ঘনিষ্ঠ খেলোয়াড়েরা, আর অন্য পাশে সাকিবের অনুসারীরা। একসঙ্গে খেললেও মানসিক বিভাজন পরিষ্কার ছিল।”
সুজনের মতে, এই বিভাজনের ফলেই দলের ঐক্য নষ্ট হয়েছে, যা পারফরম্যান্সেও বড় প্রভাব ফেলেছে।
মূলত যাদের হাত ধরে ক্রিকেটে বিভাজন:
সাকিব আল হাসান – ক্যারিশমেটিক লিডার হলেও সম্পর্ক রক্ষা নিয়ে বরাবরই সমালোচিত
তামিম ইকবাল – দেশের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান, কিন্তু নেতৃত্ব নিয়ে বারবার হয়েছেন বিতর্কের কেন্দ্রে
সুজনের মতে,
“দুজনই দেশের সেরা ক্রিকেটার, কিন্তু ব্যক্তিগত অহং আর একে অপরের প্রতি অবিশ্বাসই বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ফাটলের মুখে ঠেলে দিয়েছে।”
ফলাফল:
দলের পরিবেশ বিষাক্ত
সিনিয়র-জুনিয়র বিভাজন
মাঠের পারফরম্যান্সে ব্যর্থতা
বোর্ডে নানামুখী চাপ ও পক্ষপাতের অভিযোগ
প্রশ্ন উঠছে:
সুজনের এই মন্তব্য কি পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করবে?
বিসিবি কি এতদিন দ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিয়ে রাখছিল?
এখন কীভাবে বন্ধ হবে এই অভ্যন্তরীণ সংঘাত?
সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া একরকম বিস্ফোরণই বলা যায়। সামাজিক মাধ্যমে কেউ বলছেন,
“এটা তো অনেক আগেই বোঝা যাচ্ছিল! এবার কেউ স্পষ্ট করেই বলল।”
আবার কেউ বলছেন,
“যদি এত আগে জানা থাকত, তাহলে বোর্ড কেন ব্যবস্থা নেয়নি?”
এখন দেখার বিষয়—বিসিবি এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কী প্রতিক্রিয়া জানায়, এবং সাকিব-তামিম নিজেরাই কী বলেন এই প্রকাশ্য অভিযোগের জবাবে।
Leave a Reply