free tracking

অল্প বয়সে বিয়ে করার যত উপকারিতা!

বর্তমানে ক্যারিয়ার, শিক্ষাজীবন বা আর্থিক স্থিতিশীলতার কথা চিন্তা করে অনেকেই দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতায় রয়েছেন। তবে একদমই উপেক্ষিত নয় অল্প বয়সে বিয়ের ইতিবাচক দিকগুলো। মানসিক, শারীরিক, পারিবারিক এবং সামাজিক—বিভিন্ন ক্ষেত্রে অল্প বয়সে বিয়ের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে, যেগুলো অনেক সময় নজর এড়িয়ে যায়। চলুন, দেখে নেওয়া যাক অল্প বয়সে বিয়ে করার কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা:

১. মানসিক বন্ধন গড়তে সহজ হয়
অল্প বয়সে দু’জন মানুষ একসঙ্গে জীবনের পথচলা শুরু করলে পরস্পরের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। তখন জীবনের চাহিদা, প্রত্যাশা ও মানসিক গঠন অনেকটাই কাছাকাছি হওয়ায় একে অপরকে বোঝা সহজ হয়।

২. সন্তান গ্রহণ ও লালন-পালনে সুবিধা
অল্প বয়সে বিয়ে মানেই স্বাভাবিকভাবেই দ্রুত পরিবার গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। এতে শারীরিকভাবে সুস্থ অবস্থায় সন্তান জন্ম দেওয়ার সুযোগ থাকে এবং সন্তানদের বেড়ে ওঠার সময় মা-বাবার বয়সজনিত দুর্বলতা কম দেখা যায়।

৩. যৌবনের শক্তি ও সময়কে কাজে লাগানো
যৌবনের উচ্ছ্বাস, উদ্যম ও কর্মক্ষমতাকে পারিবারিক জীবন ও দাম্পত্য সম্পর্ক গঠনে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করা যায়। এতে দুজনেরই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন সমান্তরালে এগোতে পারে।

৪. যৌথভাবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ
অল্প বয়সে বিয়ে হলে দম্পতিরা একে অপরকে ক্যারিয়ারে সহায়তা করার সময় ও মানসিকতা পেয়ে যান। এতে একসঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা সহজ হয় এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা দ্রুত অর্জন করা সম্ভব হয়।

৫. ভুল-শেখা ও পরস্পরের সঙ্গে বেড়ে ওঠা
তরুণ বয়সে ভুল করা ও শেখার সুযোগ থাকে বেশি। একে অপরের ভুল-ত্রুটি মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকে তুলনামূলকভাবে বেশি। ফলে সম্পর্ক গড়ার ভিত্তিটাও মজবুত হয়।

৬. সমাজে স্থিতিশীলতা ও দায়িত্ববোধ তৈরি
অল্প বয়সেই বিয়ে মানুষকে দায়িত্বশীল করে তোলে। জীবনের লক্ষ্য ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, যা সমাজ ও পরিবারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তবে এটাও সত্য, অল্প বয়সে বিয়ের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন—পরিপক্বতার ঘাটতি, আর্থিক অনিশ্চয়তা বা শিক্ষা জীবন অসম্পূর্ণ থাকা। তাই বয়স নয়, বিয়ে করার ক্ষেত্রে পরিপক্বতা, প্রস্তুতি ও পারস্পরিক বোঝাপড়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *