এসি কেনার সময় আমরা সব সময় এসির টন দেখি। কিন্তু এসির টন ছাড়াও এসির আরও একটি জিনিস দেখে নেওয়া খুবই জরুরি। টনের ক্যাপাসিটির সঙ্গে আরেকটি ছোট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার রয়েছে, যেটা প্রায় সব এসি ব্র্যান্ড বলে, কিন্তু আমরা প্রায়ই সেটা উপেক্ষা করে যাই। এই প্যারামিটারের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে-যেমন বিদ্যুৎ বিলের সাশ্রয়, এবং কতটা ভালো কুলিং হবে ইত্যাদি।
এই কারণেই, আপনি যত টনের এসিই কেনার কথা ভাবুন না কেন, এই বিষয়টি অবশ্যই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। আর সেটা হচ্ছে এসির কুলিং ক্যাপাসিটি। ভাবছেন এসির কুলিং ক্যাপাসিটি কী? শব্দটি নিজেই তার মানে বলে দেয়। আচ্ছা ধরুন, আপনি আপনার বাড়ির জন্য একটি ১.৫ টনের এসি কিনেছেন। এখন কুলিং ক্যাপাসিটি মানে হলো সেই ক্ষমতা যার মাধ্যমে এসি আশপাশের এলাকা বা ঘরটিকে ঠান্ডা করতে পারে।
যত বেশি কুলিং ক্যাপাসিটি, তত ভালো এবং তত দ্রুত ঠান্ডা হবে ঘর। এসির কার্যকারিতা শুধু টনের উপর নির্ভর করে না, বরং এটি কত বিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) উৎপন্ন করতে পারে, তার উপরও নির্ভর করে। সঠিক কুলিং ক্যাপাসিটি না হলে এসি দেরিতে ঠান্ডা করবে, বেশি সময় চলবে, এবং ফলস্বরূপ বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসবে। যদি আপনার এসির কুলিং ক্যাপাসিটি কম হয়, তা হলে সেটি ঘর ঠান্ডা করতে বেশি সময় নেবে এবং তার কমপ্রেসারের উপর দীর্ঘক্ষণ চাপ পড়বে।
অন্যদিকে, যদি কুলিং ক্যাপাসিটি ভালো হয়-যেমন ৩৫০০ ওয়াট বা তার বেশি, যেমন ৫০০০ ওয়াট-তাহলে এসি ঘরকে দ্রুত ঠান্ডা করবে এবং এতে বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে। সব মিলিয়ে, এসির কুলিং ক্যাপাসিটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা টনের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই পরের বার যখন আপনি নতুন এসি কিনতে যাবেন, তখন অবশ্যই কুলিং ক্যাপাসিটি পরীক্ষা করে নিন।
Leave a Reply