✍️ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা। দেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধান ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬ এর মধ্যে সম্পন্ন করতে চান তিনি। তবে এই ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ও প্রবল চাপ।
🧭 কী বলছেন ড. ইউনুস?
ড. ইউনুস দাবি করেছেন—
“দেশে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সময় প্রয়োজন। সব দলকে আলোচনায় আনতে চাই আমরা।”
তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনের আয়োজন করা হলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই তিনি পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও সমঝোতার সময় চেয়েছেন।
🚨 বিরোধী পক্ষের অভিযোগ
বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ—
সরকারের এই ‘সময় নেওয়ার’ কৌশল আসলে ক্ষমতা ধরে রাখার আরেক রূপ।
তারা দাবি করেছে, ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
অনেকেই বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও আর্থিক সংকটের অজুহাত তুলে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।
🧨 মাঠে-ময়দানে চাপ বাড়ছে
রাজপথে ইতিমধ্যে কয়েকটি ছাত্র ও নাগরিক সংগঠন “নির্বাচন এখনই চাই” ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু করেছে। ঢাকার শাহবাগ, চট্টগ্রামের নিউমার্কেট ও রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
🌐 আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ
জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গণতান্ত্রিক স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অস্থায়ী সরকারের উপর নজরদারি করছে। অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, এই বিলম্ব নির্বাচনী আস্থায় চিড় ধরাতে পারে।
🔎 সারাংশ
বিষয় তথ্য
নির্বাচন সম্ভাব্য সময় ডিসেম্বর ২০২৫ – জুন ২০২৬
বর্তমান সরকার অস্থায়ী সরকার, নেতৃত্বে ড. ইউনুস
প্রধান বিরোধিতা বিরোধী দলের দাবি: নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হোক
জনমত চাপ বাড়ছে, রাজপথ উত্তপ্ত
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ চলছে, উদ্বেগও বাড়ছে
✅ আপনি কী মনে করেন? নির্বাচন বিলম্ব কি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, নাকি সময়ের দাবি? নিচে কমেন্টে জানান আপনার মতামত!
Leave a Reply