বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে ‘ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ’ ও ‘সুনাম ক্ষুণ্নের চেষ্টার’ অভিযোগ তুলে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।
সোমবার (২৩ জুন) যুক্তরাজ্যভিত্তিক আইন প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড এলএলপি-এর মাধ্যমে পাঠানো এই আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, ড. ইউনূস ও দুদকের পদক্ষেপ একটি “পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ”, যার লক্ষ্য ছিল টিউলিপের রাজনৈতিক ভূমিকা ও ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
নোটিশে টিউলিপ অভিযোগ করেন, এসব কর্মকাণ্ড তার নির্বাচনী এলাকা, দল এবং ব্রিটিশ রাজনীতিতে তার কাজকে বাধাগ্রস্ত করেছে। পূর্বে ১৮ মার্চ, ১৫ এপ্রিল এবং ৪ জুন তারিখে পৃথকভাবে ড. ইউনূস ও দুদককে পাঠানো চিঠিরও উল্লেখ করা হয়, যেগুলোর কোনো জবাব মেলেনি বলে জানানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ড. ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরের (৯ জুন) সময় টিউলিপ তার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তাব দেন, কিন্তু ইউনূস সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি। টিউলিপ হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা চায়ের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যা প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় আইনি নোটিশে।
বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, এটি একটি চলমান আইনি প্রক্রিয়া এবং তিনি এতে হস্তক্ষেপ করতে চান না। টিউলিপের আইনজীবীরা এটিকে “দায় এড়ানোর কৌশল” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, ইউনূসের প্রকাশ্য মন্তব্য এবং দুদকের ভূমিকায় টিউলিপের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলো যাচাই না করেই প্রচার করা হয়েছে। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির প্রতি এমন আচরণ অনভিপ্রেত বলেও দাবি করা হয়।
টিউলিপের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যদি ৩০ জুনের মধ্যে চিঠির জবাব না আসে, তাহলে তিনি বিষয়টি ‘সমাপ্ত’ বলে ধরে নেবেন এবং প্রয়োজনে আরও আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
Leave a Reply