ব্লাডার ক্যানসার বা মূত্রাশয়ের ক্যানসার এমন একটি রোগ যেখানে মূত্রাশয়ের টিস্যুতে ক্যানসার কোষ তৈরি হয়। সাধারণত ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। অনেক সময় প্রস্রাবে রক্ত আসা প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। তবে সব সময় এটি স্পষ্ট হয় না। শুরুতে কিছু উপসর্গ খুবই সূক্ষ্ম থাকে, যা সহজেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। নিচে এমন ৫টি উপসর্গ নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত:
বারবার প্রস্রাবের বেগ হওয়া
জল খাওয়া না বাড়লেও হঠাৎ বারবার প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হওয়া বা অল্প প্রস্রাবের পরেও প্রস্রাবের তাগিদ অনুভব করা হতে পারে ব্লাডার ক্যানসারের প্রাথমিক ইঙ্গিত। ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) ভেবে অনেকেই এটিকে গুরুত্ব দেন না, তবে উপসর্গটি সপ্তাহের পর সপ্তাহ থাকলে সতর্ক হওয়া উচিত।
প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালা অনুভব করা
প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালা সাধারণত ইউরিনারি ইনফেকশনের উপসর্গ মনে হয়। কিন্তু ব্লাডার ক্যানসারেও মূত্রাশয়ের আবরণে জ্বালা বা প্রদাহ হতে পারে, যা দীর্ঘদিন থেকে গেলে চিকিৎসা প্রয়োজন।
প্রস্রাবের তাগিদ অনুভব, কিন্তু প্রস্রাব না হওয়া
মূত্রাশয়ে টিউমার বা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হলে মস্তিষ্কে ভুল সংকেত যেতে পারে, যার কারণে প্রায় খালি মূত্রাশয় থাকা সত্ত্বেও প্রস্রাবের তাগিদ অনুভূত হয়। এটি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরি।
নিম্ন পিঠ বা পেলভিকে ব্যথা
প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যথা নাও হতে পারে। কিন্তু রোগ বাড়লে পিঠের নিচের অংশ বা পেলভিক অঞ্চলে অবিরাম ও মৃদু ব্যথা অনুভূত হতে পারে, যা মাংসপেশির ব্যথা মনে হলেও আসলে মূত্রাশয়ে ক্যানসারের কারণে হতে পারে।
মূত্রের রঙের পরিবর্তন
প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি দৃশ্যমান না হলেও কখনো কখনো মাইক্রোস্কোপিক হেমাচুরিয়া হতে পারে, যা প্রস্রাবের রঙ হালকা অস্বাভাবিক করে তোলে। ধূমপান, ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শ বা পরিবারে ব্লাডার ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করা উচিত।
মনে রাখুন: উপরের উপসর্গগুলোর যেকোনোটি দীর্ঘদিন থাকলে বা একাধিক উপসর্গ একসাথে দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
সূত্র: Mayo Clinic, Cleveland Clinic, National Cancer Institute
Leave a Reply