free tracking

ডা. সাবরিনার মেহেদি রাঙানো হাতে তৃতীয় স্বামীর নাম জানা গেলো!

বিতর্কিত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আবার আলোচনায় এসেছেন একটি টকশোতে অংশ নিয়ে। তার হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল ‘কায়েস’, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান—এটি তার বর্তমান ও তৃতীয় স্বামীর নাম।

অনুষ্ঠানে ডা. সাবরিনা বলেন, “হ্যাঁ, এটা আমার স্বামীর নাম। তবে এটা বিয়ের মেহেদি না। আমি শাড়ি পড়েও কিন্তু গাড়ি পরিষ্কার করেছি। ওয়েস্টার্ন ড্রেসেও করেছি। আমি যা করি, নিজের কাজ নিজেই করি। ভিডিও করি, কারণ সেটা আমার রুটিনের অংশ—আলাদা কোনো সময় দিই না।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া তার কিছু ভিডিও এবং নেতিবাচক মন্তব্য নিয়েও কথা বলেন তিনি। “মানুষ যখন ইবাদত করে তখন ভিডিও করে না, তাই বলে কি সে ইবাদত করে না? আমি যেটা দেখাচ্ছি, কেবল সেটাই যে করি, এমন না। তবে হ্যাঁ, আমি নিজের কাজ করি এবং মানুষ সেটা দেখছে। ভাইরাল হলে ক্ষতি কী?”—বলেছেন তিনি।

টকশোর এক পর্যায়ে ডা. সাবরিনা স্মরণ করেন কারাগারে কাটানো রমজানের অভিজ্ঞতা। “কারাগারে ইফতার হতো, তবে সেটা খুব সহজ। ছোলা, মুড়ি, চিনি দেওয়া হতো, শরবত নিজেই বানাতে হতো। লেবু থাকত না, জিলাপি আর খেজুর থাকত। ডালের বড়া ছিল, তবে সেটা এতটাই শক্ত যে কেউ কারো ওপর ছুঁড়লে মাথা ফুলে যেত।”

তিনি আরও জানান, রোজাদার হিসেবে নাম লেখালে একটি ডিমও পাওয়া যেত, যা কারাবন্দিদের কাছে ছিল বিরল ও আবেগের বিষয়।

তৃতীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ডা. সাবরিনা বলেন, “হ্যাঁ, আমি বিয়ে করেছি। আমার প্রথম বিয়ে অনেক ছোটবেলায় হয়েছিল, আমি তখন এমবিবিএসের প্রথম বর্ষে ছিলাম। বাবা মা বাচ্চাদের বড় হতে দেন না, আমিও তেমন অবস্থায় ছিলাম।”

সম্প্রতি বইমেলায় তার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও নিয়েও কথা বলেন ডা. সাবরিনা। সেখানে এক ব্যক্তি দাবি করেন, “এই মহিলার একমাত্র যোগ্যতা হচ্ছে তিনি জেলে গেছেন।” এ প্রসঙ্গে সাবরিনা বলেন, “হয়তো ওই ছেলে অনেক যোগ্য। তবু আমাকে দেখলেই কেউ বলে, ‘এই মেয়েটি অপরাধী’। কিন্তু আমার আসল পরিচয় আমার লেখা—বন্দিনী বইয়ের মাধ্যমে। বইমেলায় মানুষ আমাকে সেখান থেকেই চিনেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি গরিব না, রাস্তায় থাকা মুসাফিরদের ইফতার দিয়েছি, কারণ আমি নিজে কারাগারে থাকার সময় ইফতার নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *