জাতীয় পরিচয়পত্র বাংলাদেশের মানুষদের জন্য একটি নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র। এটি শুধুমাত্র পরিচয়পত্র হিসেবেই কাজ করে না, বরং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও অপরিহার্য। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, মোবাইল সিম কেনা ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলার জন্যও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হয়। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত হন।বাংলাদেশ বীমা
তবে, এখন আপনি সহজেই অনলাইনে আপনার ভোটার স্লিপ বা এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারেন। আমরা আপনাকে ধাপে ধাপে দেখাবো কীভাবে মাত্র কয়েক মিনিটে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারেন।
ধাপ ১: ওয়েবসাইটে প্রবেশ ও রেজিস্ট্রেশন শুরু-প্রথমে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (services.nidw.gov.bd) প্রবেশ করুন। ওয়েবসাইটের হোমপেজে আপনি ‘রেজিস্টার করুন’ নামে একটি লিঙ্ক দেখতে পাবেন। এই লিঙ্কে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করুন।
ধাপ ২: ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান-রেজিস্ট্রেশন ফর্মে আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (অথবা ভোটার স্লিপ নম্বর), জন্ম তারিখ এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত ক্যাপচা কোডটি সঠিকভাবে টাইপ করতে হবে। সমস্ত তথ্য পূরণ করার পর ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করুন।
বাংলাদেশ বীমাধাপ ৩: ঠিকানা বাছাই-আপনার প্রদত্ত তথ্য সঠিক হলে, আপনাকে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা) বাছাই করতে হবে। ড্রপডাউন মেনু থেকে সঠিক ঠিকানা নির্বাচন করুন।
ধাপ ৪: মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন-এই ধাপে, আপনার মোবাইল নম্বর প্রদর্শিত হবে। যদি নম্বরটি সঠিক না হয় অথবা আপনি নতুন নম্বর ব্যবহার করতে চান, তবে একটি সচল মোবাইল নম্বর প্রদান করুন। এই নম্বরেই আপনার ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে, তাই নিশ্চিত করুন যে নম্বরটি আপনার কাছে আছে। নম্বরটি সঠিকভাবে লেখার পর ‘বার্তা পাঠান’ বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫: ওটিপি এবং ফেইস ভেরিফিকেশন-আপনার মোবাইলে একটি ৬-সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। কোডটি ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট ঘরে টাইপ করুন এবং ‘বহাল’ বাটনে ক্লিক করুন। সফলভাবে কোড প্রবেশ করানোর পর, ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য একটি কিউআর কোড প্রদর্শিত হবে। এই ধাপটি সম্পন্ন করার জন্য আপনার মোবাইলে ‘NID Wallet’ অ্যাপটি ইনস্টল থাকতে হবে।
ধাপ ৬: NID Wallet অ্যাপ ব্যবহার করে কিউআর কোড স্ক্যান-আপনার যে মোবাইলে “NID Wallet” অ্যাপ ইনস্টল করা আছে, সেটি হাতে নিন। অ্যাপটি ওপেন করুন এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত কিউআর কোডটি স্ক্যান করুন।
ধাপ ৭: ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন-অ্যাপে দেখানো নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। আপনার মুখ বরাবর সেলফি ক্যামেরা ধরুন এবং ক্যামেরার দিকে তাকান। সঠিক অবস্থানে থাকলে অ্যাপে ‘OK’ বা টিক মার্ক নোটিফিকেশন দেখাবে। এরপর, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আপনার মাথা একবার ডানে এবং একবার বামে ঘোরান। যদি ফেইস ভেরিফিকেশন সফল না হয়, তবে আবার চেষ্টা করুন। সফলভাবে ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে, আপনার সামনে একটি নতুন পেজ আসবে।
ধাপ ৮: পাসওয়ার্ড সেট করুনভবিষ্যতে ফেইস ভেরিফিকেশন ছাড়াই সহজে লগইন করার জন্য, আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। ‘সেট পাসওয়ার্ড’ বাটনে ক্লিক করে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। পাসওয়ার্ড সেট করলে পরবর্তীতে আপনার এনআইডি কার্ড সংশোধন বা পুনরায় ডাউনলোড করার সুবিধা হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড-
পাসওয়ার্ড সেট করার সাথে সাথে আপনি আপনার এনআইডি ওয়েব অ্যাকাউন্টে লগইন হয়ে যাবেন। এখানে আপনি আপনার ছবি এবং প্রোফাইল তথ্য দেখতে পাবেন। আপনার ছবির ডান পাশে বিভিন্ন অপশন থাকবে। সেখান থেকে সবার নিচে থাকা ‘ডাউনলোড’ অপশনে ক্লিক করে আপনার নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করে নিন।
এই সহজ ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন এবং আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন।
Leave a Reply