free tracking

রেকর্ড ও গোল বন্যায় শেষ হলো বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল!

নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে প্রথমার্ধেই যা দেখিয়েছে বাংলাদেশ, সেটাই যথেষ্ট ছিল তুর্কমেনিস্তানকে ধরাশায়ী করার জন্য। ইয়াঙ্গুনে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমার্ধে করা ৭ গোলেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে পিটার বাটলারের দল। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলেও শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট—এ অঞ্চলের নারীদের ফুটবলে বাংলাদেশ এখন এক শক্ত নাম।

ম্যাচের শুরুটা ছিল ঝড়ের মতো। ৩ মিনিটেই স্বপ্না রানীর গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। এরপর ৬ ও ১৩ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের জোড়া গোল, ১৬ মিনিটে মনিকা চাকমা, ১৭ মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমা এবং ২০ মিনিটে তহুরা খাতুন গোল করেন। প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে আবারও ঋতুপর্ণার পা থেকে আসে সপ্তম গোল।

তুর্কমেনিস্তান তখন পুরোপুরি বিধ্বস্ত। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের গতি থেমে গেলেও ম্যাচে দাপট ছিল একচেটিয়া বাংলাদেশের হাতেই। আক্রমণ, বল দখল, গতি—সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তুর্কমেনিস্তান কিছুটা রক্ষণ জমিয়ে খেললেও ব্যবধান কমাতে পারেনি, আর বাংলাদেশও নিজেদের ছন্দ রক্ষা করে ম্যাচ শেষ করেছে।

এই জয়ে বাছাইপর্বে বাংলাদেশের রেকর্ড দাঁড়াল—

তিন ম্যাচে তিন জয়

মোট গোল: ১৬

হজম: মাত্র ১টি

প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০, দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ এবং আজ তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ ব্যবধানে হারিয়ে শতভাগ সাফল্যে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে পৌঁছাল বাংলাদেশ।

নারী ফুটবলে বাংলাদেশের এই জয় শুধুই স্কোরলাইনের নয়, আত্মবিশ্বাস ও ভবিষ্যতের এক সাহসী ঘোষণা। এখন সামনে আরও বড় মঞ্চ, আরও কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে যেভাবে বাছাইপর্বে খেলেছে লাল-সবুজের মেয়েরা, তাতে দেশবাসীর আশাবাদী হতেই হয়—এশিয়া কাপে এবার নতুন কিছু লিখবে বাংলাদেশ নারী দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *