হৃদরোগ মানেই আমরা সাধারণত হঠাৎ বুকে ব্যথা ও অজ্ঞান হয়ে পড়া কল্পনা করি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে—হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক উপসর্গগুলো অনেক সময় সূক্ষ্ম, যা আমরা প্রায়ই উপেক্ষা করি। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সেই উপসর্গগুলো শুরুতেই চিনে নেওয়া জীবন বাঁচাতে পারে বলে জানিয়েছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিসোলা আদানিজো।
তিনি এমন সাতটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণের কথা জানান, যেগুলো কখনই অবহেলা করা উচিত নয়। তিনি লেখেন, “হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ চিহ্নিত করতে পারা আপনার কিংবা অন্য কারও জীবন বাঁচাতে পারে।”
চলুন দেখে নিই সেই সাতটি সতর্কবার্তা:
১. বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি
সবচেয়ে সাধারণ ও সুপরিচিত লক্ষণ। এটি চাপ, টান, পূর্ণতা বা জ্বালাভাবের মতো অনুভূত হতে পারে। সাধারণত বুকে কেন্দ্র বা বাম পাশে হয় এবং ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে এক বা দুই বাহু, পিঠ, গলা, চোয়াল বা উপরের পেট পর্যন্ত।
২. শ্বাসকষ্ট
বুকে অস্বস্তির সঙ্গে বা আলাদাভাবেও হতে পারে। হঠাৎ করেই সামান্য কাজ বা বিশ্রাম অবস্থায় শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।
৩. ঘাম হওয়া
কোনও রকম পরিশ্রম না করেও হঠাৎ ঠান্ডা ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।
৪. বমি বমি ভাব বা বমি
বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়। অনেকে একে হজমের সমস্যা বা খাদ্যে বিষক্রিয়া বলে ভুল করেন।
৫. মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগা
ডা. মনিসোলা বলেন, “আপনার মাথা ঘুরতে পারে, জ্ঞান হারাতে পারেন, বা পা টলমল করতে পারে।” এর মানে আপনার হৃদপিণ্ড যথাযথভাবে রক্ত পাম্প করতে পারছে না, ফলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে যাচ্ছে।
৬. অস্বাভাবিক ক্লান্তি
সাধারণ বিশ্রামের পরও যদি হঠাৎ বা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে তা সতর্ক সংকেত হতে পারে। বিশেষ করে যদি এর পেছনে কোনও কারণ না থাকে।
৭. শরীরের অন্য অংশে ব্যথা
বুকে ব্যথা ছাড়াও, কাঁধ, বাহু, চোয়াল, ঘাড় বা পিঠেও ব্যথা হতে পারে। এই লক্ষণগুলো নারীদের মধ্যে প্রায়ই উপেক্ষিত হয়।
ডা. মনিসোলা শেষ পর্যন্ত বলেন, “এই লক্ষণগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। কখনোই অবহেলা করবেন না। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।”
Leave a Reply