free tracking

হুমাইরা আসগরের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

পাকিস্তানে প্রতিরক্ষা দপ্তরের আবাসনের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের লাশ। এ ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সপ্তাহখানেক আগে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। তবে ৩২ বছর বয়সী হুমাইরা আসগরের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সপ্তাহ খানেক নয়, অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮-১০ মাস আগে। এমনকী তার শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পচে গিয়েছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানি অভিনেত্রী ও মডেল হুমাইরা আসগর আলির মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো পচে গিয়েছিল। মেরুদণ্ড অবশিষ্ট ছিল না মৃতদেহে।

তার মরদেহে থিকথিক করেছে বাদামি পোকায়। হুমাইরার দেহ পচনের এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, মুখ চোখ বোঝাই যাচ্ছে না। শরীরের কিছু অংশে টিস্যু বলে আর কিছুই ছিল না। হাড়ের উপর কালো চামড়ার আস্তরণ অবশ্য পাওয়া গিয়েছে।

তবে কোনো হাড় ভাঙা ছিল না বলে দাবি করেছে পুলিশ। মৃতদেহে বাইরে থেকে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, মৃতদেহটি হুমাইরার কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল। এদিকে পচনের মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা যায়নি এখনও পর্যন্ত। এরই মাঝে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হুমাইরার দেহের টক্সিকোলজি পরীক্ষা করলে মৃত্যুর কারণ সামনে আসতে পারে।

উল্লেখ্য, করাচিতে পাক প্রতিরক্ষা দফতরের আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন হুমাইরা। সেখান থেকেই ৮ জুলাই তাঁর পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, ২০ দিন আগেই হুমাইরা মারা গিয়েছিলেন। তবে এরপর রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্রায় ৯ মাস আগেই মৃত্যু হয়েছিল হুমাইরার। দীর্ঘদিন ধরে সেই বন্ধ ফ্ল্যাটেই তার মৃতদেহ পচছিল।

করাচির প্রতিরক্ষা দপ্তরের আবাসনের (ডিফেন্স হাউসিং অথরিটি) একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন হুমাইরা আসগর। অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার বাবা মেয়ের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি তিনি তার মেয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। তবে শেষ পর্যন্ত হুমাইরার লাশ গ্রহণ করেছে পরিবার। গলফ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, হুমাইরার ভাই নাভিদ আসগর লাহোর থেকে এসে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বোনের মরদেহ গ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস ধরেই ভাড়া বাকি ছিল হুমাইরার। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যখন ফল মেলেনি, তখন বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে পুলিশ আসে। সেখানে গিয়ে অভিনেত্রীর পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *