free tracking

জবানবন্দিতে যা বললেন খতিবকে কোপানো বিল্লাল!

চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব আ ন ম নূর রহমান মাদানীকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সবজি বিক্রেতা বিল্লাল পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন—“ভুল করেছি, ছুরিকাঘাত করা ঠিক হয়নি।”

বর্তমানে গুরুতর আহত খতিব মাদানী ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকলেও তার পরিবার জানিয়েছে, তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তার চিকিৎসা কেন্দ্রের নাম গোপন রাখা হয়েছে।

আহত খতিবের ছেলে আফনান তাকি বলেন,“সবার দোয়ায় আব্বা এখন আশঙ্কামুক্ত এবং ভালো আছেন। আমরা থানায় মামলা করেছি এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাসপাতালের নাম প্রকাশ করছি না।”

গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর শহরের প্রফেসরপাড়া এলাকার বাইতুল আমান জামে মসজিদে একটি হত্যার চিরকুট ও চাপাতি নিয়ে প্রবেশ করে সবজি বিক্রেতা বিল্লাল। নামাজরত অবস্থায় হঠাৎ করে খতিব আ ন ম নূর রহমান মাদানীর ওপর হামলা চালায় সে।

মসজিদের মুসুল্লিরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,“বিল্লাল কয়েকদিন ধরে মসজিদে অবস্থান করছিল। ঘটনার দিন সে জায়নামাজে চাপাতি পেঁচিয়ে লুকিয়ে রাখে এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে খতিব সাহেবকে কোপায়।”

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমাস মোল্লা বলেন,“নূর রহমান মাদানী একজন ধর্মপ্রচারক, যিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মোবাল্লেগ। তিনি এলাকায় ইসলামের সঠিক শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে নিবেদিত ছিলেন। এমন হামলা শুধু একজন ব্যক্তির নয়, বরং ইসলামের আলো ছড়ানো এক অভিভাবকের ওপর হামলা।”

তিনি আরও জানান, আহত খতিবকে প্রথমে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আটক বিল্লাল চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর শহরের বকুলতলা রেলওয়ে এলাকায় বসবাস করেন এবং পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া বলেন,“আটক বিল্লাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামলার দায় স্বীকার করেছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী তদন্ত চলছে। পুরো ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাই আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”আহত খতিবের ছেলে আফনান তাকি বাদী হয়ে বিল্লালের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

এই নির্মম হামলার ঘটনায় ধর্মীয় পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হামলার প্রকৃত উদ্দেশ্য ও এর পেছনের উৎস খুঁজে বের করতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা এই ঘটনায় দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *