২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে। তবে এবারের ভর্তির মৌসুমে আসছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নীতিগত পরিবর্তন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কোটাব্যবস্থা পুনর্গঠন, মাইগ্রেশন নীতিমালায় সংশোধন, ভর্তির সময়সীমা নির্ধারণ এবং অভিজাত কলেজগুলোতে ভর্তির শর্তাবলীতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জানান, “২০২৫ সালের ভর্তি প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে নতুন নীতিমালার খসড়া তৈরি হয়েছে, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কোটার কাঠামো ও কলেজ নির্বাচনের নিয়মে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।”
গত বছর প্রায় ৮,৫০০ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি। বিশেষ করে নটর ডেম, হলি ক্রস, সেন্ট যোসেফ, ভিকারুননিসা, রেসিডেনসিয়াল, রাজউক ও আইডিয়াল কলেজে আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় ভর্তি প্রতিযোগিতা তীব্র হয়ে উঠছে।
ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক রেজাউল হক জানান, অভিজাত কলেজগুলোর নিজস্ব স্কুল শাখা থাকায় বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য আসন কমে যায়। অনেকে আবার পছন্দ নির্ধারণে ভুল করায় ভর্তি থেকে বাদ পড়ে যান।
ব্যানবেইস ও শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দেশে একাদশ শ্রেণির জন্য মোট ৩৩.২৫ লাখ আসন রয়েছে, অথচ এবার এসএসসি পাস করেছে মাত্র ১৩ লাখ শিক্ষার্থী। এতে করে ২০ লাখেরও বেশি আসন শূন্য থাকবে—যা বেসরকারি কলেজগুলোর জন্য উদ্বেগজনক।
গত বছর ২২০টি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি, যা শিক্ষা ব্যবস্থার ভারসাম্যহীনতা এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে ৭ শতাংশ কোটা রয়েছে—এর মধ্যে ৫% মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য এবং ২% শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের জন্য। এবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য নতুন একটি বিশেষ কোটা চালুর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কোটার যৌক্তিকতা নিয়েও পুনর্বিবেচনা চলছে।
Leave a Reply