হৃদরোগ প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন ব্যায়াম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি, তেমনি প্রতিদিনের খাবারই হতে পারে হৃদয়কে সুস্থ রাখার সহজ ও কার্যকর উপায়।
এই বিষয়ে ইউটিউবে প্রকাশিত এক ভিডিওতে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিমল ছাজের এমন ১০টি খাদ্য তালিকা প্রকাশ করেছেন, যেগুলো প্রতিদিন খাওয়া উচিত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল হ্রাস এবং অন্তঃপ্রদাহ প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য।
হৃদয়বান্ধব প্রতিদিনের ১০টি খাবার
১. কালো আঙুর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (বিশেষ করে রেসভেরাট্রল) সমৃদ্ধ কালো আঙুর খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, রক্তনালী সুরক্ষিত রাখে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
২. আপেল
ফাইবার ও পলিফেনলে ভরপুর আপেল কোলেস্টেরল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদযন্ত্রের সামগ্রিক কার্যকারিতা উন্নত করে।
৩. নাশপাতি
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
৪. স্ট্রবেরি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি প্রদাহ কমায়, ধমনী পরিষ্কার রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৫. তাজা সালাদ
কাঁচা শাকসবজি যেমন শসা, গাজর, টমেটো ইত্যাদি ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে—যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৬. তাজা ফল ও জুস
ঋতুভিত্তিক ফল এবং প্রাকৃতিক, চিনিমুক্ত ফলের রস শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং হৃদয়বান্ধব পুষ্টি দেয়।
৭. ওটস
ওটসে থাকা উচ্চমাত্রার দ্রবণীয় ফাইবার এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) কমায় এবং রক্তনালীর স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখে।
৮. সবুজ পাতা জাতীয় শাকসবজি
স্পিনাচ, পালং ও কেল-এ থাকা নাইট্রেট রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালীগুলো মজবুত রাখে।
৯. সবুজ চা
ক্যাটেচিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ সবুজ চা রক্তসঞ্চালন উন্নত করে, কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
১০. লো-ফ্যাট দুধ
চর্বিমুক্ত দুধ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ভালো উৎস, যা হৃদযন্ত্রের পেশি শক্তিশালী করে এবং সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখে।
ডা. ছাজের মতে, এসব খাবার প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা কমে আসে। পাশাপাশি এটি শক্তি বৃদ্ধি, দীর্ঘায়ু এবং রক্তনালীর স্বাস্থ্য রক্ষাতেও সহায়ক।
Leave a Reply