গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুই দফা হামলা চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী।
তিনি জানিয়েছেন, তাদের বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তারা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন পরিস্থিতি ঠিক নেই।
বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা পৌনে ৩টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ শুরুর আগে একবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর সেখানে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পৌঁছে। সবাই ঠিকঠাক বক্তব্যও দেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় সমাবেশস্থল।
সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চারদিক থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশের গাড়ি ঘিরে ফেলে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সবাবেশস্থলে পৌঁছান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলাম, ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানের মধ্যে দিয়ে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের স্বাগত জানান।
মঞ্চে উঠে প্রথমে মাইক হাতে কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে নিয়ে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তার স্লোগানে সভামঞ্চসহ পুরো সমাবেশস্থল যেন নতুন করে প্রাণ পায়।
সকালে সদর উপজেলায় পুলিশের একটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতেও হামলা করা হয়।
এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে জেলার বিভিন্নস্থানে নাশকতা, সড়ক অবরোধ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সদর উপজেলা কংশুর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
Leave a Reply