গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে বর্বরোচিত হামলার ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য দাবি করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে তরুণদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার হরণ তাদের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এদিন এনসিপি কর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়, ভাঙচুর করা হয় তাদের গাড়ি। অনেককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ও দলীয় কর্মীরা এই হামলায় জড়িত ছিল।
বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা করা হয়। একইসঙ্গে সমাবেশে অংশ নেয়া সাহসী শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয় যারা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে কোনো ধরনের সহিংসতার জায়গা নেই। যারা শান্তিপূর্ণ নাগরিক অধিকার হরণে জড়িত, তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, এটাই সরকারের অঙ্গীকার।
প্রসঙ্গত বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশস্থলে সকাল থেকে জড়ো হতে থাকেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে সমাবেশস্থলে হামলা চালান কয়েকজন যুবক। এ সময় সমাবেশস্থলের পাশে থাকা বেশ কিছু চেয়ার ছুড়ে ফেলেন তারা। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি চেয়ার।
এ হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। এ সময় তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নিরাপত্তা দিতে না পারলে আমাদের বলুন। আমরাই আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।’
Leave a Reply