free tracking

ডিবি হারুনের পালানোর রহস্যে নতুন মোড়!

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি প্রশ্রয়ে এক সময়ের পুলিশ কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ পরিণত হন ‘দানব’ তকমায়। পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলা উপেক্ষা করে তিনি নিজেকে চেইন অফ কমান্ড দাবি করতেন। বলতেন, “আমি চেইন অফ কমান্ড।” যেকোনো আদেডিবি হারুনের পালানোর রহস্যে নতুন মোড়!শে, যেকোনো ব্যক্তিকে ধরার কিংবা মারার নির্দেশে সরাসরি শেখ হাসিনার ফোনেই ভর করতেন তিনি। এমনকি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি ফোন করতেন বা গেলে ডেকে নিতেন।

হারুনের বিশেষ সম্পর্ক ছিল সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে। এই রাজনৈতিক সমর্থনের ভিত্তিতে তিনি দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হিসেবে দাপট চালান এবং একই সাথে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছিলেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হারুন ছিলেন ডিবি পুলিশের ‘দানব’। বিরোধী দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বর্বরতা, অবৈধ অর্থ উপার্জন ও বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপসহ নানা অভিযোগে তিনি দণ্ডিত। ২০১১ সালে বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদিন ফারুককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে আলোচনায় আসেন হারুন।

জুলাই ২০২৪’র ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারালে হারুনও পালিয়ে যান। প্রথমে সেনা হেফাজতে থাকলেও ৮ আগস্ট রাতে ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগ করে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেন। এরপর ১৬ আগস্ট নেপাল হয়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ সেন্ট লুসিয়ায় এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় রয়েছেন। তার পরিবারও আগে থেকেই সেখানে গ্রীন কার্ডধারী অবস্থায় বসবাস করছে।

হারুন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ২০তম বিসিএস এ তিনি পুলিশের কর্মজীবন শুরু করেন। সিনিয়রদের টপকিয়ে দ্রুত পদোন্নতি পান এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। গাজীপুরে তার নামে বহু সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে।

ডিবিতে তাঁর শাসনকালীন সময়ে ‘পঞ্চপাণ্ডব’ নামে পাঁচজন সহকর্মী গড়ে তুলে নানা অপকর্ম করতেন হারুন। রাজনৈতিক বিরোধীদের আটক, নির্যাতন ও অর্থ আদায় ছিল তার স্বাভাবিক কার্যক্রম। দুর্নীতির পাশাপাশি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন সাইবার অপরাধ ও অর্থ পাচার ব্যবসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *