free tracking

সজীব ওয়াজেদের শেয়ার করা সেই ভিডিওর আসল সত্যতা!

সম্প্রতি গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরোনো এবং সম্পর্কহীন ছবি ও ভিডিও প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী, যাদের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকরাও রয়েছেন, এই প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই ভিডিও এবং ছবিগুলো শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, এগুলো গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের চিত্র। তবে ফ্যাক্ট-চেকাররা জানিয়েছেন, এগুলোর বেশিরভাগই পুরোনো এবং অন্য ঘটনার।

এরকম একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা এক ব্যক্তিকে ভ্যানে তুলছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হয়, এটি গোপালগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত এক বিক্ষোভকারীর। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ডের একটি পুরোনো ঘটনা, যেখানে ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৪ঠা জুন।

আরেকটি পোস্টে, একটি শিশুর লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি ব্যবহার করে দাবি করা হয় যে, গোপালগঞ্জে শিশুদেরও রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়ানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, ছবিটি গোপালগঞ্জের নয় এবং এটি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে গাজীপুরের শফিপুর এলাকার একটি ভিডিওর স্ক্রিনশট হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছিল।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং-এর ফ্যাক্ট চেক শাখা জানিয়েছে, গোপালগঞ্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক পুরোনো ও সম্পর্কহীন ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আওয়ামী লীগ ও এর সমর্থকরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সমর্থকদের হামলার জের ধরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এই সহিংসতায় অন্তত চারজন নিহত হয় এবং পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসন কারফিউ জারি করে।

সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ছবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে হাসপাতালের আহত ব্যক্তির ছবি এবং ডিবি পুলিশের গুলি চালানোর দৃশ্য। ফ্যাক্ট-চেকাররা নিশ্চিত করেছেন, এই ছবিগুলোও পুরোনো এবং ভিন্ন ঘটনার। যেমন, ডিবি পুলিশের গুলি চালানোর ছবিটি ২০২২ সালের ৮ই ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির একটি সমাবেশের সময় তোলা হয়েছিল।

এই ধরণের প্রচারণা প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির একটি অপচেষ্টা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *