গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও এর জেরে সংঘর্ষ এবং কারফিউ জারির পর সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়। এই গুজবকে ভিত্তিহীন বলে চিহ্নিত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ নামক একটি স্বাধীন ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা।
ফেসবুকে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা এক সদস্যের ছবি দিয়ে বলা হয়, তিনি গোপালগঞ্জের ঘটনাপ্রবাহে ক্ষুব্ধ হয়ে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
কিন্তু ফ্যাক্টওয়াচ-এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই তথ্য পুরোপুরি ভুয়া এবং ভিত্তিহীন। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা জনমনে ভুল বার্তা ছড়ায়।কারফিউর রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যাতে দাবি করা হয়—গোপালগঞ্জে সেনা অভিযান চলছে।
তবে বাংলা ফ্যাক্ট জানিয়েছে, ভিডিওটি গোপালগঞ্জের নয়, বরং ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুরে যৌথবাহিনীর পরিচালিত এক অভিযানের ভিডিও, যেখানে অপরাধীদের ধরতে গুলি বিনিময় হয়েছিল। এই ভিডিওকে পুরোনো ও অসত্য প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা হয়েছে।
ফ্যাক্টওয়াচ: লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং সেন্টার ফর ক্রিটিকাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (CQS) পরিচালিত সংস্থা।
বাংলা ফ্যাক্ট: প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (PIB)-এর ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম।
তারা রিভার্স ইমেজ সার্চ এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে ভিডিও ও দাবিগুলোর সত্যতা যাচাই করেছে।
গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্কে এনসিপি’র পদযাত্রা ও সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
এ ঘটনার পর প্রশাসন শহরে কারফিউ জারি করে। এর মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয় যে, সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে।
ফ্যাক্টওয়াচ এবং বাংলা ফ্যাক্ট জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তিকর ছবি, ভিডিও ও তথ্য যাচাই না করে শেয়ার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে।”গুজব রোধে নাগরিকদের সচেতন ভূমিকা নেওয়া এখন অত্যন্ত জরুরি।”
Leave a Reply