free tracking

ঝলসে গিয়েও শিক্ষার্থীদের জন্য লড়লেন শিক্ষক, বিভীষিকাময় বর্ণনা!

‘এটা ঠিক স্কুল ছুটির সময় ছিল। শিক্ষার্থীরা গেটে অপেক্ষা করছিল। কী ঘটছে, তা বোঝার আগেই চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই দৃষ্টিসীমা কমে আসে। আমি শুধু আগুন দেখতে পাচ্ছিলাম, এরপর ধোঁয়া…। আমার হাত পুড়ে গেছে, মুখ ও কান ঝলসে গেছে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল।’

‘দ্রুত ওয়াশরুমে গিয়ে একটি ভেজা কাপড় নিয়ে এসে নাক ঢেকে রাখি। আমার পাশে থাকা বাচ্চাদেরও আমি একই কাজ করতে বলি। তাদের অনেকের শার্টে ততক্ষণে আগুন ধরে গিয়েছিল। আমি তাদের নিচু হয়ে থাকতে এবং মুখ ঢাকতে বললাম।’

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে আজ (২১ জুলাই) বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভয়াবহ আগুন থেকে বেঁচে ফেরা এক আহত শিক্ষক এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

এই শিক্ষকের সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থী সেখান থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ একজনকে সিএমএইচের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়।

এই শিক্ষক নিজে আগুনে ঝলসে গিয়েও শিক্ষার্থীদের জন্য লড়েছেন। শিক্ষক বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর শরীরের কিছু অংশে চামড়া উঠে গেছে। আমি আমার পরা কাপড় দিয়ে তাকে মুড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। আমি নিজেও যন্ত্রণায় কাতর ছিলাম। কিন্তু আমি নিজেকে স্থির রেখে অন্যদের শান্ত রাখার চেষ্টা করলাম।’

বিমান আছড়ে পড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান ওই শিক্ষক। কথা বলার সময় ওই শিক্ষকের কণ্ঠ কাঁপছিল। তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন আটকেপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য।

আজ সোমবার দুপুর ১টার পর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *