রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১৭১ জন। তাদের মধ্যে অন্তত ৭০ জনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।
দুর্ঘটনার সময় স্কুলে ছিলো আফিয়া উম্মে মরিয়ম ও তার ভাই সামিন। আফিয়া তৃতীয় শ্রেণিতে এবং সামিন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। দুর্ঘটনার পর ছেলেকে খুঁজে পেলেও এখনও মেয়েকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পরিবারের সদস্যরা। আফিয়ার খোঁজে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটেছেন, তবে সব জায়গা থেকেই ফিরেছেন খালি হাতে।
আফিয়ার মা তানিয়া আক্তার কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে, আমার মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। একটু বলেন আমার মেয়ে কোথায় আছে?’
সামিন একই স্কুলের নবম শ্রেনিতে পড়তেন। তবে দুর্ঘটনা থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটি উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। এর ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
Leave a Reply