রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ঘটে যায় হৃদয়বিদারক এক দুর্ঘটনা। স্কুল ছুটির আর মাত্র ১০ মিনিট বাকি ছিল, আর ঠিক তখনই ওই ভবনে থাকা শতাধিক শিক্ষার্থীর ওপর নেমে আসে বিভীষিকা।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়েন এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, “আর দশ মিনিট পরেই স্কুল ছুটি হতো। সবাই ভবনের ভেতরে ছিল।”
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, বিমানবাহিনীর ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান রোববার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে। সোমবার বেলা দেড়টার কিছু আগে সেটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় বিমানটিতে।
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিশু ও পাইলটসহ এ পর্যন্ত ২০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭১ জন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় দগ্ধ অবস্থায় বহু শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, বেলা ১টা ১৮ মিনিটে দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরপরই মাইলস্টোন কলেজে ছুটে যান তারা। ১টা ২২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর ও পূর্বাচল ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ৯টি ইউনিট উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে শোক ও ক্ষোভের ছায়া। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাধারণ মানুষ সবাই বাকরুদ্ধ এমন দুঃসহ ঘটনার পর।
Leave a Reply