free tracking

স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী!

গলায় ফাঁস দিয়েছেন স্ত্রী এমন কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যান স্বামী। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা গেছেন তানিয়া আক্তার। এ কথা শুনে তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন স্বামী সুমন মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খামারের চর কান্দাপাড়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেলাব থানার এসআই মাহবুবুর রহমান।

নিহতের নাম তানিয়া আক্তার (২৪)। তিনি পার্শ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার মরজাল মধ্যপাড়া এলাকার রুস্তম আলী প্রধানের মেয়ে।

এ দিকে স্বামীর বাড়ির লোকজনের তানিয়া আত্মহত্যা করেছে দাবি করলেও নিহতের পরিবার ও স্বজনদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামী হত্যা করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, আলকাছ মিয়ার ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী সুমন মিয়ার সঙ্গে ৮ বছর আগে বিয়ে হয় তানিয়া আক্তারের। তাদের আড়াই বছর ও ৯ মাস বয়সী দুই সন্তান রয়েছে। ঘটনার পূর্বে স্বামীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি করে ঘরের ভেতরে গিয়ে সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তানিয়া আক্তার। পরে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে নামিয়ে পার্শ্ববর্তী বারৈচা গ্রিন লাইফ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক পরীক্ষা করে জানান তিনি এরই মধ্যে মারা গেছেন। এ খবর শুনে স্বামী সুমন মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে।

নিহতের মা মজিদা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে। আমি তাদের বিচার চাই।

নিহতের শাশুড়ি শাহারা খাতুন বলেন, তাদের মধ্যে কী নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে আমি জানি না। তবে বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ দেখতে পাই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তানিয়া ফাঁস নিয়েছে। পরে আমি এবং আমার দেবর তাকে নিচে নামাই।

বারৈচা গ্রিন লাইফ হাসপাতালের (আরএমও) আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাসুম বিল্লাহ বলেন, অজ্ঞান অবস্থায় নিহতের স্বামী তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর খবর শুনে স্বামীসহ তার স্বজনরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

বেলাব থানার এসআই মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি। প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *