শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। সিরিজ জয়ের ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান জাকের আলী এবং শেখ মেহেদী হাসান। জাকেরের দৃঢ় অর্ধশতকেই ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। ব্যাট হাতে একমাত্র উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন জাকের আলী অনিক। ৪৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন এই তরুণ।
তবে শুরুটা ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। একাদশে পরিবর্তন এনে নিয়মিত ওপেনার তানজিদ তামিমের জায়গায় সুযোগ পান নাঈম শেখ। কিন্তু এই বাঁহাতি ওপেনার মাত্র ৭ বলে ৩ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন। তার পরপরই ফিরেন অধিনায়ক লিটন দাস। মাত্র ৯ বলে ৮ রান করে সালমান মির্জার শিকার হন তিনি।
ঝড় তোলার মতো অবস্থানে থেকেও ব্যর্থ হন পারভেজ হোসেন ইমন। আর তাওহীদ হৃদয় রান আউট হয়ে ফেরেন ১২ রানে। এক পর্যায়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন জাকের আলী ও শেখ মেহেদী। দুজনের ৪৯ রানের জুটিই ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে সবচেয়ে বড়।
শেষদিকে বলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলতে কিছুটা হিমশিম খেলেও জাকের তার ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন। ইনিংসের শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত এমন ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে একাদশে নেয়া হয় নাঈম শেখ ও শরিফুল ইসলামকে। বাদ পড়েন তানজিদ তামিম ও তাসকিন আহমেদ। তবে এই পরিবর্তন কাঙ্ক্ষিত ফল বয়ে আনেনি।
শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে বোলারদের হাতে এই রান যথেষ্ট হবে কি-না, সে নিয়ে থেকেই যাচ্ছে সংশয়।
Leave a Reply