বাংলাদেশের পেস ঝড়ে শুরুতেই বিধ্বস্ত পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপ। শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে সফরকারীরা। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় ম্যাচটি মাঠে গড়ায়।
বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। শেখ মেহেদীর করা প্রথম ওভারের শেষ বলে রানআউট হন পাকিস্তানি ওপেনার সাইম আইয়ুব। পয়েন্টে বল ঠেলে এক রান নিতে গিয়ে দ্বিধায় পড়েন তিনি। রিশাদ হোসেনের থ্রোয়ে লিটন দাস স্টাম্প ভেঙে দেন। সাইম ফেরেন ৪ বলে ১ রান করে।
পরের ওভারে বাংলাদেশ পায় দ্বিতীয় উইকেট। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হন মোহাম্মদ হারিস। রিভিউ নিলেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন হারিস।
তৃতীয় ওভারে আরও একটি আঘাত হানে বাংলাদেশ। শরিফুলের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসকে ক্যাচ দেন ফখর জামান। ৮ বলে ৮ রান করেন তিনি। পাকিস্তানের স্কোর তখন মাত্র ১৪।
এরপর চতুর্থ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। পরপর দুই বলে হাসান নেওয়াজ ও মোহাম্মদ নেওয়াজকে আউট করেন তিনি। দু’জনকেই উইকেটকিপার লিটনের গ্লাভসে ক্যাচ বানান তানজিম। হাসান করেন ৬ বলে ০ রান, মোহাম্মদ নেওয়াজ ফেরেন গোল্ডেন ডাক নিয়ে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। সিরিজ জয়ের ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান জাকের আলী এবং শেখ মেহেদী হাসান। জাকেরের দৃঢ় অর্ধশতকেই ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
একাদশে পরিবর্তন এনে নিয়মিত ওপেনার তানজিদ তামিমের জায়গায় সুযোগ পান নাঈম শেখ। কিন্তু এই বাঁহাতি ওপেনার মাত্র ৭ বলে ৩ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন। তার পরপরই ফিরেন অধিনায়ক লিটন দাস। মাত্র ৯ বলে ৮ রান করে সালমান মির্জার শিকার হন তিনি।
ঝড় তোলার মতো অবস্থানে থেকেও ব্যর্থ হন পারভেজ হোসেন ইমন। আর তাওহীদ হৃদয় রান আউট হয়ে ফেরেন ১২ রানে। এক পর্যায়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন জাকের আলী ও শেখ মেহেদী। দুজনের ৪৯ রানের জুটিই ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে সবচেয়ে বড়।
শেষদিকে বলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলতে কিছুটা হিমশিম খেলেও জাকের তার ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন। ইনিংসের শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত এমন ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে একাদশে নেয়া হয় নাঈম শেখ ও শরিফুল ইসলামকে। বাদ পড়েন তানজিদ তামিম ও তাসকিন আহমেদ। তবে এই পরিবর্তন কাঙ্ক্ষিত ফল বয়ে আনেনি।
Leave a Reply