free tracking

‘চাল ভেঙে আমার ঘরের মধ্যে পড়েন পাইলট’ —শিক্ষক নাসিরউদ্দিন!

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন বলেছেন, তার অফিস কক্ষ থেকে আহত অবস্থায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমানের পাইলটকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

স্কুলটির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন সোমবার দুর্ঘটনার সময় নিজে প্রাণে বেঁচে গেছেন। চোখের সামনে দাউ দাউ আগুনে পুড়তে দেখেছেন স্নেহের শিক্ষার্থীদের।

সেই বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কথা তুলে ধরছিলেন নাসির উদ্দিন।

তিনি বলছিলেন, ‘একটা প্রচণ্ড সাউন্ড হয়। শব্দের সঙ্গে সঙ্গে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। এসে দেখি একটা অংশ পুরো ভেঙে গেছে। তারপরই সবাই বলে আগুন আগুন।

যেখানে বিমানটা পড়েছে ওখানটায় গিয়ে দেখি মাত্র আগুন ধরছে। তারপর পরই সময় যত বেড়েছে আগুনের পরিমাণ বেড়েই চলছিল।’
তিনি জানান, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা।

নাসিরউদ্দিন বলছিলেন, ‘বারবার আমরা পানি দিচ্ছিলাম, কিন্তু আগুন কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে আসছিল না।

কিছুক্ষণ পরে আমার হাতের বামে দেখি অনেকগুলো স্টুডেন্ট আমার নাম ধরে ডাকতেছে, বলতেছে– স্যার আমাদের বাঁচান। পরে আমিসহ কয়েকজন গ্রিল ভেঙে ১২-১৩ জনকে উদ্ধার করি। প্রায় আধাঘণ্টা পর আমি আমার ডিপার্টমেন্টে আসি। আমার ডিপার্টমেন্টে আসি যখন তখন আমার পিয়ন বলে স্যার ডিপার্টমেন্ট পুরোটা ভেঙে গেছে।’
স্কুলটির শারীরিক শিক্ষা বিভাগেই নাসিরউদ্দিনের অফিস।

বিধ্বস্ত ভবনে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করায় নিজ বিভাগে ফিরে আসেন তিনি।
শিক্ষক নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘তারপর ভেতরে ঢুকে দেখি আমার ডেস্ক পুরোটা দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে গেছে। ওপরে দেখতে পাই প্যারাসুট। তখন গুঞ্জন আসলো প্যারাসুট থাকলে মানুষ আসতে পারে। বিমান বাহিনীর লোকরা সার্চ করে দেখে আমার ঘরের এক কোনায় পড়েছিল পাইলট। টিনের চাল ভেঙে আমার ঘরেই পড়েছিল পাইলট। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে পাইলটকে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *