free tracking

‘ভয় নয়, ভালোবেসেই বিএনপি নেতাকে বিয়ে করেছি’

ঠাকুরগাঁওয়ে মেয়ের সঙ্গে বিএনপি নেতার বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো ‘গুজব ও অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বাবা ও মেয়ে। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে তারা জানান, এটি কোনো জোরপূর্বক বিয়ে নয়, বরং প্রেম ও পারিবারিক সম্মতিতেই বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।

৫৫ বছর বয়সী বিএনপি নেতার সঙ্গে কলেজপড়ুয়া মেয়ের বিয়ের ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেখানে দাবি করা হয়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিনেশ চন্দ্র বর্মণকে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে তার মেয়েকে বিয়ে করেছেন জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু।

এই অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দিনেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল আমার জামাতার সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানকে হেয় করার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে দিনেশ চন্দ্র বর্মণের মেয়েও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘কলেজে পড়ার সময় থেকেই সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডুর সঙ্গে আমার পরিচয় এবং সম্পর্ক।

আমরা দুজন দুজনকে পছন্দ করি। বয়স বেশি হলেও তাকে আমার ভালো লেগেছে। আমি স্বেচ্ছায়, নিজের পছন্দে তাকে বিয়ে করেছি। দয়া করে সামাজিক মাধ্যমে আমাকে নিয়ে ট্রল করা বন্ধ করুন।


দিনেশ চন্দ্র বর্মণ তার লিখিত বক্তব্যে জানান, মেয়ের পছন্দের কথা জানার পর পারিবারিকভাবেই গত ৯ জুলাই হিন্দুধর্মীয় রীতি মেনে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। সামাজিক মাধ্যমে যে ছবিগুলো ছড়িয়েছে, সেগুলো তার মেয়ের ফেসবুক আইডি থেকেই নেওয়া, যা সে নিজেই আনন্দের সঙ্গে আপলোড করেছিল।

তিনি আরো বলেন, ‘আমার জামাতা সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি। তার সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *