হার্ট অ্যাটাক মানেই যেন মনে হয় বুক চেপে ধরা, প্রচণ্ড ব্যথায় কষ্ট পাওয়া। কিন্তু অনেক সময় কোনও বুকে ব্যথা ছাড়াও হৃদরোগ হতে পারে, যাকে বলে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক। এটি নীরবে শরীরের ক্ষতি করে এবং রোগী তা বুঝতেই পারেন না। এমনকি অনেক সময় এটি প্রথম ধাপে মারাত্মকও হয়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক অনেক সময় সাধারণ উপসর্গের আড়ালে থেকে যায়। তাই সচেতনতা ও সতর্কতাই এর প্রধান প্রতিরোধ।
সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণ:
১. হালকা শ্বাসকষ্ট
কোনও পরিশ্রম ছাড়াই হঠাৎ হাঁপিয়ে যাওয়া বা দম বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি হতে পারে। এটি ফুসফুস নয়, বরং হৃদপিণ্ডের সংকটের ইঙ্গিত হতে পারে।
২. অতিরিক্ত ঘাম
অস্বাভাবিক ঘাম হওয়া—বিশেষ করে ঠান্ডা ঘাম—হার্ট অ্যাটাকের সতর্ক সংকেত হতে পারে, বিশেষ করে যখন এটি হঠাৎ ও অকারণে শুরু হয়।
৩. ক্লান্তি বা দুর্বলতা
সাধারণ কাজেও হঠাৎ করে দুর্বল লাগা, বা শরীরে শক্তি না থাকা অনেক সময় হৃদরোগের আভাস দেয়।
৪. বুকের অস্বস্তি
যদিও ব্যথা না থাকে, তবুও বুক ভারী লাগা, চেপে ধরা অনুভূতি, বা জ্বালাপোড়া ভাব থাকলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
৫. ঘাড়, চোয়াল বা পিঠে ব্যথা
অনেকেই মনে করেন হার্ট অ্যাটাক মানেই বুকে ব্যথা, কিন্তু এটি ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা হয়েও প্রকাশ পেতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে।
৬. বমি ভাব বা বদহজম
বুক জ্বালা, গ্যাস্ট্রিক বা বমি বমি ভাব সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি উপসর্গ হতে পারে, যা অনেকেই হজমের সমস্যা বলে ভুল করেন।
কারা বেশি ঝুঁকিতে?
🔹 ডায়াবেটিস রোগী
🔹 উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এমন ব্যক্তি
🔹 ধূমপায়ী
🔹 পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে
🔹 যাদের ওজন বেশি
কী করবেন?
১. উপরের উপসর্গগুলো উপেক্ষা করবেন না
২. ECG ও রুটিন হেলথ চেকআপ নিয়মিত করুন
৩. হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
৪. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাওয়া-দাওয়ায় সচেতন হোন
হার্ট অ্যাটাক সব সময় নাটকীয় উপায়ে আসে না। নীরবেও প্রাণঘাতী বিপদ হতে পারে। তাই শরীরের ছোট ছোট পরিবর্তনকেও গুরুত্ব দিন। সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Leave a Reply