free tracking

আপনার পায়ের গন্ধে বিরক্ত অন্যরা, রেহাই পেতে যা করবেন!

অনেকেই আছেন যাদের পায়ে বেশ দুর্গন্ধ হয়। যার ফলে বিরক্ত হন আশেপাশের মানুষ। নিজেকেও হতে হয় বিব্রত। মূলত পায়ের গ্রন্থিগুলো থেকে অতিরিক্ত ঘাম নিঃসরণ হলে এমন দুর্গন্ধ হতে পারে। গ্রীষ্ম ও শীতে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয়, হাইপার হাইড্রোসিস।

চিকিৎসকরা বলছেন, ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে, ডায়াবেটিস কিংবা থাইরয়েডের মতো রোগ থাকলেও পায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে রেহাই মিলতে পারে এই সমস্যা থেকে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-

ঘামের গন্ধ থেকে বাঁচতে সুতির মোজা ব্যবহার করুন। সিন্থেটিক মোজা পরলে ঘাম বেশি হয়, সমস্যা আরও বাড়ে।

ডায়েটে বদল আনুন। খুব মশলাদার খাবার বিপাকক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। ঘন ঘন বদহজম হলেও ঘামে বিশ্রী গন্ধ হয়।

জুতো মাঝেমাঝেই রোদে দিন। জুতোর ভিতরে আলো-হাওয়া পৌঁছলে ছত্রাক, ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ কমে। একই মোজা পর পর দু’দিন পরবেন না।

বাসায় ফিরে পা থেকে জুতা খুলে পায়ে পর্যাপ্ত বাতাস লাগাতে হবে। জুতাগুলোও এমন জায়গায় রাখতে হবে, যেন জুতার ভেতরে পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে।

চা-কফি পান কমান। যেকোনো উত্তেজক পানীয় শরীরে হরমোন নির্গমনে সাহায্য করে। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। তাতে স্নায়ু উত্তেজিত হয় পরোক্ষে। সহজেই ঘাম হয়।

প্রতিদিন সময় করে হালকা গরম পানিতে লবন মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট পনেরো। লবন ছত্রাক দূর করতে সক্ষম। ফলে পা ঘামার সমস্যাকে কমিয়ে দেয় অনেকটাই। একটু সময়সাপেক্ষ হলেও পা ঘামার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে লবন-পানির জুড়ি নেই।

পা পরিষ্কারের পর ত্বকের সুরক্ষায় ইউরিয়াযুক্ত ময়েশ্চারাইজিং লোশন মেখে নিলে ত্বক ভালো থাকবে। এতে ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তারও হবে কম। দুর্গন্ধও ছড়াবে না।
মোজা পরার আগে অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল পাউডার লাগিয়ে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *