এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেই পুরোনো ছন্দে দেখা গেল লিওনেল মেসিকে। বাংলাদেশ সময় আজ সকালে লিগস কাপের ম্যাচে মেক্সিকান ক্লাব আটলাসের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির হয়ে ফিরতি ম্যাচেই ২-১ গোলের নাটকীয় এক জয় এনে দিলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। দুটি অসাধারণ অ্যাসিস্টে জয়ের নায়ক হয়ে উঠলেন তিনি।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে, যোগ করা সময়ের একদম শেষে মেসির পাস থেকেই জয়সূচক গোলটি করেন মার্সেলো ভিগান্ট। যদিও শুরুতে অফসাইডের পতাকা তোলা হয়েছিল, তবে ভিএআরের মাধ্যমে গোলটি বৈধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে ৫৮ মিনিটে প্রথম গোলেও অবদান ছিল মেসির—তাঁর পাস থেকেই গোল করেছিলেন তেলাসকো সেগোভিয়া।
৮২ মিনিটে আটলাসের হয়ে রিভালদো লোজানো গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। তবে শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগমুহূর্তে মেসির জাদুতেই আবার এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি।
এই জুলাই মাসেই মেসি করেছেন পাঁচটি অ্যাসিস্ট ও আটটি গোল। এই পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে।
ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে আরেকজনের জন্যও—রদ্রিগো দি পল। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডার সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ইন্টার মায়ামির সঙ্গে এবং এই ম্যাচেই হয়েছে তাঁর অভিষেক। জাতীয় দলের হয়ে মেসির সঙ্গে দীর্ঘদিন খেলা এই মিডফিল্ডার গোল উদ্যাপনে ছুটে আসেন মেসির কাছে—মাঠে ও মাঠের বাইরে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচিত। অনেকেই তাঁকে মেসির ‘দেহরক্ষী’ বলেও ডাকেন।
এদিকে, অল-স্টার ম্যাচে না খেলায় এমএলএস কর্তৃপক্ষ মেসি ও জর্দি আলবাকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই যেন নিজের সামর্থ্যের জবাবটা মাঠেই দিয়ে দিলেন মেসি।
ম্যাচের প্রথমার্ধেও গোলের সুযোগ এসেছিল দুই দলের। মায়ামির গোলরক্ষক রোকো রিওস নোভো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে দলকে এগিয়ে রাখেন, অন্যদিকে লুইস সুয়ারেজের একটি শট লেগে যায় ক্রসবারে।
এই জয় দিয়ে লিগস কাপ অভিযান শুরু করল ইন্টার মায়ামি, আর মেসি আবারও প্রমাণ করলেন—তাঁর নামেই ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়।
Leave a Reply