সরকার সঞ্চয়পত্র ও মেয়াদি আমানতে (এফডিআর) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র বা এফডিআর কিনতে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। আগে এই সীমা ছিল ৫ লাখ টাকা।
এছাড়া, ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিতে চাইলে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এক সরকারি গেজেটের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানায়।
গেজেটের ভিত্তিতে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লুবাবা সাদিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন পাঁচটি প্রধান সঞ্চয় প্রকল্পে মুনাফার হার কমানো হয়েছে। ১ জুলাই ২০২৫ থেকে নতুন হার কার্যকর হয়েছে। এখন এসব স্কিমে সর্বোচ্চ মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১.৮২ শতাংশ থেকে ১১.৯৮ শতাংশ, যেখানে আগের হার ছিল ১২.২৫ থেকে ১২.৫৫ শতাংশ।
মুনাফার হার হ্রাসকৃত পাঁচটি স্কিম হলো:
-
পরিবার সঞ্চয়পত্র
-
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
-
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
-
পেনশনার সঞ্চয়পত্র
-
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদি হিসাব
বিনিয়োগকারীদের জন্য দুটি ধাপে হার নির্ধারণ করা হয়েছে—৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচে এবং তার ঊর্ধ্বে।
তবে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
Leave a Reply