ওমান সরকার তাদের দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীদের জন্য কঠোর আইন চালু রেখেছে এবং সেই আইন বাস্তবায়নে কোনো ছাড় দেয় না। ওমানের আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশিকে যদি ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে তার পেছনে থাকে সুনির্দিষ্ট অপরাধ ও প্রমাণ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা।
তারা জানান, গত এক যুগে ওমানে প্রায় আট লাখ বাংলাদেশি কর্মরত ছিলেন, অথচ মাত্র ১৫–২০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যাদের প্রত্যেকেই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর পরও দেশে ফিরে কিছু ব্যক্তি আত্মীয়-স্বজনের সহানুভূতি পেতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে অন্যের ওপর দোষ চাপান।
এই প্রতারণামূলক আচরণ ব্যক্তিগত নয়, বরং দেশের ভাবমূর্তিকে বিপদে ফেলছে। বিশেষ করে ওমানে যেখানে সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা যেকোনো ধরনের সংগঠন আইনত নিষিদ্ধ, সেখানে কিছু বাংলাদেশি গোপনে “সংগঠনের” নামে অপতৎপরতায় লিপ্ত হন।
ফলে ওমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশিদের প্রতি অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, যা ভিসা নীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ইতোমধ্যে এই কারণে ভিসা নীতিতে এসেছে কঠোরতা, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ফেরত আসেন, তাদের দেশে এনে আইনের আওতায় আনতে হবে। যাতে তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পান এবং ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়।
প্রধান সমস্যাসমূহ সংক্ষেপে:
মাত্র ১৫–২০ জন ফেরত এলেও সবাই অপরাধে জড়িত ছিলেন
দেশে ফিরে মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়ছে
ওমান সরকার সংগঠন ও রাজনীতির বিরুদ্ধে কঠোর
বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে
ভিসা নীতিতে এসেছে কঠোরতা, কর্মসংস্থান হুমকিতে
সংশ্লিষ্টদের মতে, অপরাধ ঢেকে সহানুভূতি আদায়ের প্রবণতা বন্ধ না হলে বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
Leave a Reply